Image description

ভিডিও ফুটেজ দেখে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা প্রদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয় শনাক্ত করা খুবই সহজসাধ্য বলে মন্তব্য করেছে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এ ঘটনায় শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। 

আজ মঙ্গলবার ঢাবি শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খাঁন এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইনের স্বাক্ষরে এ বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে একাধিক নেতা শাহবাগের ঘটনাকে ঘিরে ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে মিথ্যাচার করেছে। 

তারা বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা বাধা দিয়েছে, তা শনাক্ত করা খুবই সহজ। সুনির্দিষ্ট তথ্য যাচাই না করে একটি ছাত্রসংগঠনকে অভিযুক্ত করা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

তারা উল্লেখ করেন, ফুটেজে উপস্থিত ব্যক্তিদের মতামত জানা কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী কর্তৃক ঘটনার বিবরণ জেনে এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানানো ছিল ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ও প্রত্যাশিত আচরণ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আধিপত্যবাদের ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার ও ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’দের বয়ানকে পুনরায় প্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টা নয়া ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশপন্থার নামে জাতীয় সংগীতে বাধা প্রদানের ইস্যুতে ইসলামপন্থা বনাম বাংলাদেশপন্থাকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপরাজনীতি কার্যত উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদের পুনর্মঞ্চায়ন। যেটি বাঙালি বনাম ইসলাম এর বিভাজনের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির নয়া বন্দোবস্ত। 

বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে ঐক্য ছাত্র ও জনতার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল, সেটিই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে বলে ছাত্রশিবির বিশ্বাস করে।

গত শনিবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবির আন্দোলনে শাহবাগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় গুটিকয়েক আন্দোলনকারীকে বাধা দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে রোববার রাজু ভাস্কর্যে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের আয়োজন করে ছাত্রদল। এতে ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র ফেডারেশন অংশ নেয়।