Image description

হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন হামলার মাধ্যমে ইসরাইলের এলাত (উম্ম আল-রাশরাশ) বন্দরে এবং নেগেভ অঞ্চলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। 

গাজায় দখলদার ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনের জবাবে মঙ্গলবার রাতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি। 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই যুগপৎ সামরিক অভিযানে তিনটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ড্রোন নেগেভের একটি বড় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় এবং তৃতীয় ড্রোনটি এলাত বন্দরে আঘাত হানে।

ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘আল্লাহর কৃপায় এই অভিযান তার নির্ধারিত লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করেছে’।

ইয়েমেনি বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গাজায় আগ্রাসন ও অবরোধের বিরুদ্ধে তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।একই সঙ্গে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর ওপর যেকোনো হামলা প্রত্যাখ্যান করবে।

ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং গাজার অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত দুজন ত্রাণ সংগ্রহের সময় নিহত হন। 

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। 

উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় হামলা

মঙ্গলবার উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে আল জাজিরার চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।  

দক্ষিণ গাজায় রাফাহর উত্তরে একটি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইল-মার্কিন সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রমের সময় হামলায় দুই নারী নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নিতে গিয়ে ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জাবালিয়া শহরও রয়েছে। আল জাজিরার সাংবাদিক মোয়াজ আল-খালাউত জানান, ‘মানুষ গাড়ি ও গাধা নিয়ে এলাকা ছাড়ছে, কিন্তু তাদের কোথায় যেতে হবে তা কেউ জানে না। জ্বালানির অভাবে পরিবহন সংকটও তীব্র।’ সূত্র: বার্তা সংস্থা মেহের