
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মনজুর স্ত্রী রহিমা আক্তার বলেছেন, ‘আমাদের স্বামী-সন্তানের রক্তের ওপর এ সরকার দাঁড়িয়ে আছে। তাহলে কেনো সরকার আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করছে? কেন জুলাই সনদ দিচ্ছে না? যতগুলো শহীদ হয়েছে তাড়াতাড়ি বিচার করেন। বিচারের আগে কোনো নির্বাচন চাই না।’
বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শহীদ আবু সাঈদ গেটে জুলাই গণপদযাত্রা শেষে সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
রহিমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের স্বামীরা জীবন দিয়েছেন। আমরা বিধবা হয়েছি। আমাদের সন্তানরা এতিম হয়েছে। স্বৈরাচার দেশে থেকে এখনো যায় নাই। এখনো স্বৈরাচার ঘুরছে বাংলাদেশের মাটিতে। আমাদের বাচ্চারা কেনো বাবার আদর পাচ্ছে না? জুলাই সনদ দেওয়া হচ্ছে না কেন?’
সমাবেশে শহীদ ওমর ফারুকের মা সেফালি বেগম বলেন, ‘আমার কলিজা সবসময় জ্বলছে। কেনো আমার বাবার হত্যার বিচার হচ্ছে না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি ইলেকশন বুঝি না। নির্বাচন হতে দিবো না, বিচার আগে হতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের আহ্বায়ক ইমরান বলেন, ‘স্বাধীনতার এক বছর পরে বলে বেড়াতে হচ্ছে জুলাই গণহত্যার বিচার চাই। হামলাকারীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘যদি জুলাই সনদ দেওয়া না হয় পঞ্চাশ বছর পর আওয়ামী লীগ বলবে আমরা সন্ত্রাসী। তারা বলবে আবু সাঈদ সন্ত্রাসী। আমাদের আবার বিচার হবে সেই সময়ে। তাই আমাদের একটাই দাবি অবশ্যই জুলাই সনদ দিতে হবে।’
এর আগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আন্দোলনের ব্যানারে জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই গণহত্যার বিচার, আহতদের সঠিক চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবিতে গণপদযাত্রা চারতলা মোড় এলাকা থেকে বের হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ আবু সাঈদ গেটে এসে পৌঁছায়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।