
শেখ হাসিনার পতনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-তরুণদের সক্রিয় রাজনৈতিক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনীতির নতুন একটি ধারা গড়ে উঠছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনেও তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের প্রভাব যেমন দৃশ্যমান, তেমনি তাদের কর্মকাণ্ডকে ঘিরেই অনেক সময় বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করছে। এমন প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতির এই নতুন মুখগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।
আজ রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ছাত্র-তরুণ রাজনীতিকদের উদ্দেশে সতর্কতামূলক পরামর্শ দেন।
পোস্টে মারুফ কামাল লিখেছেন, ‘এক সময় দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ছিল মূল অ্যাক্টর। তারা যেটা করত, বাকিরা স্রেফ তার প্রতিক্রিয়া জানাত। এমন বাস্তবতায় যারা বিরোধিতা করত, তারাও অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ পরিচিতি পেত। অর্থাৎ, রাজনীতির প্রধান অ্যাক্টরই হয়ে ওঠে প্রধান ফ্যাক্টর।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে এখন রাজনীতির মেইন অ্যাক্টর কারা? ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-তরুণরা কি এখন সেই জায়গায় চলে এসেছেন? বিএনপি-জামায়াতসহ অন্য দলগুলো কি এখন তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে?’
ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে তারা ধীরে ধীরে অপ্রধান হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে নিজেদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক রূপরেখা স্পষ্ট করতে হবে। শুধু দলীয় কর্মী-সমর্থক নয়, বরং বৃহৎ জনসমর্থন গড়ে তুলতে হবে।’
পোস্টের শেষাংশে মারুফ কামাল খান গুরুত্বপূর্ণ একটি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন: ‘রাজনীতির প্রধান অ্যাক্টর হওয়ার সঙ্গে বড় ঝুঁকিও জড়িয়ে থাকে। তারা কখনো কখনো ফ্যাসিবাদী কিংবা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে পারে। ছাত্র-তরুণদের এ বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি।’