Image description

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর পরিবার ‘বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায়’ বাবা-মেয়েকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। মামলাটি হয়রানিমূলক উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তবে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখানের সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের সাবেক এ নেতা।

গত ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার আদালতে মামলার আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আজমত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীও একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তাকে জুলাই আন্দোলনের হামলা মামলার আসামি করা হয়েছে। আর বাবাকে আসামি করা হয়েছে অপর একটি রাজনৈতিক মামলায়। তাদের বাড়ি ভালুকা উপজেলায়। বাবা পেশায় ট্রাকচালক। আর মামলার বাদী আশিকুর রহমান একই উপজেলার ভরাডুবা গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের শেষদিকে আশিকুর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর তিনি আমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে আমার পরিবার সম্মত হলে হঠাৎ আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর পারিবারিকভাবে অন্যত্র আমার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আশিকুর আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেন।’

এবার পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন জানিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, ‘মূলত ওই ঘটনার জের ধরেই ভালুকা থানার একটি রাজনৈতিক মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে। একইসঙ্গে জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে অপর একটি মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বা আমার পরিবারের কেউ কখনও আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। মূলত বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে ছাত্রলীগ বানিয়ে এবং আমার বাবাকে আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে মামলায় আসামি করা হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া অন্যায় কিছু নয়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হামলায় জড়িত অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছি। কাউকে হয়রানি করা আমার উদ্দেশ্য নয়।’

এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমেনা আক্তার পলির অভিযোগ পেয়েছি। তবে এ নিয়ে আমার কিছু করার নেই।’