Image description

জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৮ জুলাই পায়ে ও বুকে গুলি লাগে মুত্তাকিন বিল্লাহর। তবু তিনি ঘরে বসে থাকেননি। মাকে চিন্তা না করতে বলে তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফের আন্দোলনে যান পরদিনও। এদিন পুলিশের গুলি লাগে তার মাথায়।

তাকে সহযোগীরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ভর্তি হতে দেয়নি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে, সেখানেই শহীদ হন তিনি।

জানা যায়, শহীদ মুত্তাকিন ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মিরপুর-১ টোলারবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৮ জুলাই প্রথম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তিনি তার মা রহিমা বেগমকে বলেছিলেন, ঢাকায় গোলাগুলি হচ্ছে মা। আমার বুকে ও পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে। বুকের পাশে একটু লালচে দাগ হয়েছে। তুমি চিন্তা করো না, এতে আমার কিছু হবে না। পরদিন ১৯ জুলাই বুকে রাবার বুলেটের ক্ষত নিয়ে তিনি আবার আন্দোলনে যান। ওইদিন ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় পুলিশের ছোড়া গুলি মুত্তাকিনের মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। প্রথমে তার সহযোগীরা তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে ভর্তি হতে দেয়নি। পরে মাজার রোডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শহীদ হন জুলাইয়ের এ যোদ্ধা।

মুত্তাকিনের স্ত্রী নাইমা বলেন, সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ল্যাব টেকনোলজিস্ট হিসেবে কাজ করছি। মুত্তাকিনের মারা যাওয়ার পর আমি কোনো মামলা করিনি। তবে মুত্তাকিনের বড় ভাই শিহাবুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জেনেছি।

মুত্তাকিনের মা বেশ কয়েক জায়গা থেকে সহায়তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জুলাই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা, ‘আমরা বিএনপির পরিবার’ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা, এম আর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছি।