Image description

টুডে ডেস্ক 

বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার ড তুহিন মালিক তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, আওয়ামী লীগকে চারভাবে নিষিদ্ধ করা যায়। তিনি লিখেছেন, 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রোডম্যাপ:-
১। ন্যাশনাল ও পলিটিকাল
২। লিগ্যাল
৩। জুডিশিয়াল
৪। কন্সটিটিউশনাল
১। ন্যাশনাল ও পলিটিকাল:- ৫ই আগষ্টেই পলিটিকালি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ন্যাশনাল ও পলিটিকাল ঐক্যমত ও সিদ্ধান্তও কার্যকর হয়ে গেছে। নতুন করে এই ইস্যু আনা মানে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে পিছিয়ে দেয়া। তবে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নিয়ে হয়ত প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই ভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপিসহ কারোই তো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে বিএনপি তার অভিমত লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই তো হয়। কে বাধা দিবে? আপত্তি করার কেউ কি আছে?


 ২। লিগ্যাল:- নির্বাহী আদেশ দিয়ে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করাটা কালকের মধ্যেই সম্ভব। সেইসাথে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে, অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিধান চিরস্থায়ী করে দেয়া।


৩। জুডিশিয়াল:- আইসিটি ট্রাইব্যুনালের আইনে সংগঠনের বিচার করার বিধান নাই। এতটা সময় চলে গেলো, অথচ সরকার আইন সংশোধন করে এই বিধান যুক্ত করার সময় পায়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করাটা কালকের মধ্যেই সম্ভব।


৪। কন্সটিটিউশনাল:- নতুন সংবিধানে একাধিকবার গনহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরন। 


ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ মানুষের মনে এমনই ভীতি সৃষ্টি করেছে, অনেকে আতংকগ্রস্থ, আওয়ামী লীগ ফিরে আসলে নিষিদ্ধের সব বিঁধান বাতিল করে দিয়ে চরমতম প্রতিশোধ নিবে। ভুল সবই ভুল। জেনে রাখুন, আওয়ামী লীগ আর কখনই ফিরতে পারবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে গনহত্যাকারী ফ্যাসিষ্টের কোন প্রত্যাবর্তন হয় না। হলে ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে।