
শহিদের রক্তে রঞ্জিত ‘জুলাই স্পিরিটের’ সঙ্গে যারাই প্রতারণা করবে, তারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার (৯ মে) সকালে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শহিদের রক্তে রঞ্জিত ‘জুলাই স্পিরিটের’ সঙ্গে যারাই প্রতারণা করবেন, তারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।’
এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করার ঘোষণা দেয় ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ।
ওই পোস্টে সিবগাতুল্লাহ লেখেন, ‘যমুনায় আসতেছি। দেশের মানুষের জন্য আমরা আছি, ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিকট জুলাইকে হেরে যেতে দেব না। আমাদের লক্ষ্য ‘চূড়ান্ত বিপ্লব’। ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে সংগঠনটির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি যেসব উপদেষ্টা চিহ্নিত আওয়ামী আমলাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পদায়ন করেছেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং আওয়ামী দোসর সকল আমলা ও প্রশাসনের বিচারের জন্য স্পেশাল ফোর্স ও তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই। ’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। অনেকে ইতোমধ্যে দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অবশেষে তিনিও তার ছেলে ও শ্যালককেসহ বুধবার রাতে দেশ ছাড়েন। এর পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল দেশ।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।