
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘাত শুক্রবার (৯ মে) দিনভরও অব্যাহত রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর তুমুল গোলাগুলি, বিস্ফোরণ এবং ড্রোন হামলার খবর মিলেছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে হামলা চালাচ্ছে এবং সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাও করেছে।
ভারতের এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের মতো শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু এলাকায় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একইসঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ড্রোন হামলার পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সারা দেশে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
সামরিক হুমকি মোকাবিলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্তত ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে শ্রীনগর, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড়, পাঠানকোট, লেহ, জয়সলমির, যোধপুর, জম্মু, কিশেনগড় ও শিমলার মতো কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলো।
এর পাশাপাশি, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজধানী দিল্লিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি অফিসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তঘেঁষা রাজ্য রাজস্থান, পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজস্থানের জয়সলমির ও বারমের জেলাগুলোতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই ভারতের সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এ হামলার দায় স্বীকার করেনি পাকিস্তান সরকার। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাতে কাশ্মীরের পুঞ্চে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ কার্যকর করে দেওয়া হয়। চালু করা হয় মিসাইল সতর্কতামূলক সাইরেন, যার আওয়াজে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।