
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীদের মধ্যে। গত বৃহস্পতিবার ফতুল্লায় এক ব্যবসায়ীকে গুলিতে ব্যবহার হয় থানার লুটের অস্ত্র। তিন মাসে জেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত তিনজন, বিভিন্ন সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। ৫ আগস্ট জেলার দুটি থানা ও রাইফেল ক্লাব থেকে মোট ১৫৩টি অস্ত্র খোয়া যায়, যার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ১১১টি। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর তৎপরতা চলছে।
গত ১ মে ফতুল্লার পাগলা বাজারে জাহিদুল ইসলাম নান্টু নামের এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পেট ও হাতে গুলিবিদ্ধ জাহিদুলকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্রের গুলিতে তিনি আহত হন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ফতুল্লায় সেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১৯ মার্চ রূপগঞ্জের চনপাড়ায় গুলিতে নিহত হন যুবদলকর্মী হাসিব। আর ৩১ মার্চ কাশীপুরে পাভেল নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে প্রতিবেশী। গত তিন মাসে সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অর্ধশতাধিক। অহরহ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে উদ্বেগ বাড়ছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।
সচেতন নগরবাসীর ভাষ্য, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে শঙ্কিত মানুষ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ক্ষমতাচ্যুত দলের কর্মীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র এখনও পুরোপুরি উদ্ধার হয়নি।
লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অভিযান চলমান আছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা।