Image description

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পুলিশ ডেকে বন্ধুকে আটকে হোটেল কক্ষে ঢুকে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে দুর্গাপুর পৌরশহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় নামে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিুবুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর ছাত্রদল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

 

দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, নেত্রকোনা শহরের ওই ছাত্রী রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের একই শ্রেণি ও বর্ষের এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) হবু স্বামীর সঙ্গে মেয়েটি দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন। ছেলেটির সঙ্গে ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের বন্ধুত্ব আগে থেকে ছিল। তার কথামতো বিরিশিরিতে একটি হোটেলে ওঠেন তারা।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে হবু স্ত্রীকে হোটেলে রেখে খাবার কিনতে যান ছেলেটি। তখন ছাত্রদল নেতা দুর্জয় পুলিশকে ফোন করে বলে, তার বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেন দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে। 

আটক হওয়ার পর তিনি পুলিশকে বলেন, তার হবু স্ত্রী হোটেলের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পুলিশ তাকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পায়। উদ্ধারের পর মেয়েটি জানান, দুর্জয় ধর্ষণ করেছে। 

এ ঘটনায় ছাত্রীটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এ ছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, ঘটনার পরপরই দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।