Image description

রাজধানীর উত্তরায় এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার সময় বিআরটিসির ট্রাকের ধাক্কায় নাঈম (১৭) নামের এক পরীক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ক্ষণিকা’ নামের বিআরটিসির একটি বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুরে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। অবরোধকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের একটি বাস ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। হামলাকালে বাসের ভেতরে থাকা চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য উত্তরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিক্ষোভে উত্তরার উত্তরা হাইস্কুল এন্ড কলেজ, নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সানরাইজ স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা কর্মাস কলেজের শত শত শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। বিক্ষোভকালে শ্লোগানে শ্লোগানে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমার ভাই কবরে, ঘাতক চালক কেন বাহিরে, প্রশাসন জবাব চাই, জবাই’, ‘ঘাতক চালকের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ সহ নানান শ্লোগান দেন।

জানা গেছে, গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) সেখানে বিআরটিসির ট্রাক চাপায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিএনএস সেন্টার থেকে জসিম উদ্দিনের মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে উত্তরার আজমপুরে অবরোধকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

বাসটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোয়াদ নামের এক ছাত্র বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে কিছু নামধারী ছাত্ররা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এতে বাসের ভেতরে থাকা চারজন ছাত্র আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায়, একজন বুকে, একজন পিঠে ও একজন হাতে আঘাত পেয়েছে।

অপরদিকে ফেসবুকে ঢাবির নাঈমুর রহমান রিদম একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন-উত্তরার আজমপুরে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে হামলা চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা জোনের এডিসি আহাম্মদ আলী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে হামলা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ স্যার নিজেই থানায় আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনারসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এডিসি আহাম্মদ বলেন, ভাঙচুরের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে।