
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার আত্মহননের দায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
রবিবার বিকাল ৪টায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ৬ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মঞ্জু বলেন, ‘লামিয়ার আত্মহননের দায় থেকে আমরা কেউ মুক্ত নয়। এর দায় আমাদের সবার। অবহেলা ও উপেক্ষার জন্য উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে নতুন একটি রাজনৈতিক দল অপরিহার্য হয়ে পড়ে। যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধ ও তত্ত্ব মতবাদ বিতর্কে আবদ্ধ, ঠিক তখনই নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। সেই ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামক প্ল্যাটফর্মটিই আজকের আমার বাংলাদেশ পার্টিতে রূপান্তরিত হয়।’
মঞ্জু বলেন, ‘একটি জাতির ইতিহাস না থাকলে সেটি জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারে না। ঠিক তেমনি একটি দল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটেও ইতিহাস থাকে। আমাদের দলেরও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল, একটা নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ। নতুন কিছু খুঁজতে চাওয়ার, আমরা যেটির নাম দিয়েছিলাম জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ। আমাদের মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল, নতুন কিছু করার আকাঙ্ক্ষা। কয়েকজন একত্র হলেই বলতাম কিছু একটা করা যায় কিনা! লেখালেখি করে আমাদের চিন্তাগুলো সকলের মধ্যে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে দিলাম।’
তিনি বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায়, যেটি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, একটা ঘোষণাপত্র তৈরি করব। এই ঘোষণাপত্র অনেক খ্যাতিমান গুণিজনদের পাঠিয়ে আমরা পরামর্শ নিই। তখন আমরা চিন্তা করে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক প্ল্যাটফর্ম গঠন করি। অনেক শলাপরামর্শ করে আমরা হোটেল ৭১-এ জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঘোষণা দেই।’
মঞ্জু আরও বলেন, ‘ঘোষণা দেওয়ার প্রাক্কালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হই। সেই বাধা উপেক্ষা করে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করি। সেদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আমরা প্রোগ্রাম করি। সেদিনের যাত্রাটি আমরা সফলভাবে শুরু করতে পেরেছি। অনেক দুর্দশা মেনে নিয়ে আমরা নতুন প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু করি। ইনক্লুসিভ পলিটিক্স করার লক্ষ্যে আমরা নতুন প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা দিই।’
পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূইয়া,এবিএম খালিদ হাসান, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস ইসলাম খান নোমান, জাগপার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক(ঢাকা) এম আমজাদ খান, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক(ঢাকা) শাহজাহান বেপারী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ও নারী বিষয়ক সহ সম্পাদক আমেনা বেগম।