Image description

সরকারি তিতুমীর কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজ ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। দলবদ্ধ মারধরের পর শিক্ষার্থীকে ‘বাঁচতে চাইলে দৌড়াতে’ বলেন তিনি। এসময় তিনি জীবন বাঁচাতে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের পাশে পুরাতন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মারধরকারী ওই ছাত্রদল নেতা তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আলমগীর। ‘সরে দাঁড়াতে বলার’ সূত্র ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

হামলার শিকার নাজমুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে পুরাতন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় ছাত্রদল নেতা মো. আলমগীর কয়েকজন মেয়ে বান্ধবীসহ এসে আমাদের একেবারে সামনে দাঁড়ান। আমি তাকে অনুরোধ করে বলেছিলাম, একটু সরে দাঁড়ান যেন বাতাস আসে। কথাটা বলার পর তিনি কিছু বলেননি, শুধু তাকিয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দেখি তিনি ফোনে কারো সাথে কথা বলছেন।

তিনি আরও বলেন, তারপর হঠাৎ ২০-২৫ জন ছেলে এসে হাজির হয়। আলমগীর আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি আমার কলার চেপে ধরে জিজ্ঞেস করেন, কোন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী? আমি বলি, তিতুমীর কলেজের। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই মিলে আমাকে মারধর করতে শুরু করে।

তিনি বলেন, “তারা বলতে থাকে, 'তিতুমীরের হইছিস, আমাকে চিনস না? কোন সাহসে সরে দাঁড়াতে বলিস?' এরপর তারা আমাকে দৌড়াতে বলে, না হলে আরও মারবে। জীবন বাঁচাতে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসি।”

প্রত্যক্ষদর্শী কলেজের (২০২৩-২৪) সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদ হাসান বলেন, আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন আলমগীর এসে আমাদের সামনে দাঁড়ান। নাজমুল তাকে সরে দাঁড়াতে বললে তিনি কিছু বলেননি, শুধু একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন ছেলে এসে নাজমুলকে পাশে ডেকে নিয়ে মারধর শুরু করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পোলাপান ঝামেলা করেছে, আমিও শুনেছি। তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। ছাত্রদলের আদর্শ মারামারি করা নয়, আমরা তারেক রহমানের আদর্শে রাজনীতি করি।

এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সেলিম রেজা বলেন, আমি ঘটনাটা শুনেছি, শোনার সাথে সাথেই আলমগীরকে কল দিয়ে বকা দিয়েছি, শাসন করেছি। এখন একটা ঘটনা ঘটছে, কী করার আছে বলো।

এ প্রসঙ্গে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, মো. আলমগীর তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।