Image description

সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি আর বডি সোহেল সাধারণ সম্পাদক এইভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হবে। এই পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। এইটাই বিএনপি, ভারত ও ওয়াকারের যৌথ সিদ্ধান্ত। এতে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বৃটেইনের সমর্থন আছে। 
এই কারণেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে জেলে রাখা যায় নাই। ১৯৭৫ এর পনোরোই আগষ্টের বিপ্লবীদের দেশ ছাড়তে হইছিলো। তারা বিভক্ত হতে হতে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। যারা ১৯৭৫ এর বেনিফিসিয়ারি তারা বিপ্লবীদের বাচায় নাই। একাংশ রাজনৈতিক দল তৈরি করলো ফ্রিডম পার্টি। আরেক অংশ খন্দকার মুশতাককে মাঝে রেখে দল গড়তে চাইলো। পারলো না। মুশতাককে প্লেট চুরির মামলায় জেলে দেয়া হলো। হাসিনা ফিরে এলো।

২০২৪ এ আবার ১৯৭৫ এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সেই একই ব্যবস্থা সেই একই কাঠামো অবিকৃত রেখে রাষ্ট্র চলবে। লুটপাট চলবে, ভারতের কর্তৃত্ব চলবে। ২৪ এর নায়কেরা ভুল আর বিভেদের পঙ্কিল আবর্তে ডুবে যাবে। এখন শুরু হয়েছে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে লড়িয়ে দেয়া। 
ছাত্রদের ক্ষমতা এখন সীমিত। ব্যাপকভাবে চলছে ছাত্রদের চরিত্রহনন। ছাত্রদের উপলব্ধি হওয়া দরকার ছিলো তারা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ লিখে ফেলেছিলো পাচ থেকে আটই আগষ্টের মধ্যে। তারা যাদের উপরে নির্ভর করেছিলো।

যাদের মিষ্টি কথায় ভুলেছিলো তারাই এখন চোখ উলটে দিয়েছে। আরো একবার আরেক সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাবার মুখোমুখি হয়েছে। আপনারা জানেন, আমি হাল ছাড়ি না। যতোদিন বেচে আছি বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেবোনা। ১৯৭৫ এর পুনরাবৃত্তি হতে দেবোনা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বা ভারতীয় আধিপত্যবাদ ফিরবে না; যতই তার পিছনে ওয়াকার থাকুক, সিভিল মিলিটারি বুরোক্রেসি থাকুক, প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার থাকুক আর বিএনপি থাকুক।

 

 

সূত্র ঃ পিনাকী