
রাজশাহীতে বালুমহালের টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, আজ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চারঘাট, পবা, গোদাগাড়ী ও কাটাখালীর চারটি বালুমহাল ইজারার টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে টেন্ডার বাক্স সিলগালা করার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির হাসানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন এসে টেন্ডার জমা দিতে চান। সেখানে টেন্ডার বাক্সের সামনে কাটাখালী পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে অনুসারীরা টেন্ডার জমা দিতে আপত্তি তোলেন। তারা বলেন, ‘সময় শেষ। আর জমা দেওয়া যাবে না।’ বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় ডিসি অফিস চত্বরে আসা লোকজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে।
দুই পক্ষের হামলায় রায়হান (২৫) নামের একজন আহত হন। তিনি জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকারের অনুসারী। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে কাটাখালী পৌরসভার ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।’
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম অহ্বায়ক নাজির হাসান বলেন, ‘আমি ডিসি অফিসে টেন্ডার জমা দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। আমি পুলিশের সহায়তায় টেন্ডার জমা দিয়ে চলে এসেছি। মারামারি বা হাতাহাতির ঘটনা দেখিনি।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ডিসি অফিসে চারটি বালু মহাল ইজারার জন্য টেন্ডার ড্রপিং চলছিল। এ সময় টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এতে একজন আহত হন। এই ঘটনায় একপক্ষ রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে।