Image description
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছিল । সেই সময়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ । আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে — এমন আশঙ্কা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকেও জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণেরা । এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না এলে রাজনীতিতে নতুন সংকটের ছায়া দেখছেন বিশ্লেষকেরা । রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসানের পর পরিস্থিতি থিতিয়ে আসতে সময় চলে গেছে প্রায় সাত মাস । এখন চলছে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ । জাতীয় সংসদ , গণপরিষদ , নাকি স্থানীয় সরকার

প্রসঙ্গ আওয়ামী লীগ » আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যে দলগুলোর বিরূপ প্রতিক্রিয়া । » জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের অভিযোগ , আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে । » নিরাপত্তা বাহিনীকে জড়িয়ে হাসনাতের পোস্ট । কৌশলে ভুল দেখছেন বিশ্লেষকেরা । » মন্তব্য করবে না আইএসপিআর । রাজধানীতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার । নির্বাচন — কোনটি আগে হবে , তা নিয়ে বিএনপি , জামায়াতে ইসলামীসহ পুরোনো দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতভেদ আছে । আর তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির ( এনসিপি ) মূল চাওয়া —গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য আগে গণপরিষদ নির্বাচন অথবা একই সঙ্গে গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন । সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর মধ্যে

এমন মতবিরোধের মধ্যেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি রাজনীতিতে নতুন ইস্যু হয়ে উঠেছে । বিশ্লেষকেরা বলছেন , বর্তমানে সক্রিয় দলগুলোর বেশির ভাগ আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতিতে দেখতে চায় না ; সরাসরি নির্বাচনে তো নয়ই । কিন্তু কী উপায়ে দলটিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যাবে , সে বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের কৌশল ও হিসাবে গড়বড়

থাকতে পারে । এই অবস্থা কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টায়ও আছে । বিভিন্ন ব্যক্তি - গোষ্ঠী । ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে কেউ কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রসঙ্গও টেনে আনছেন । এতে সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে । রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন , ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানের সময় তিনি তরুণদের পক্ষে ছিলেন । কিন্তু এখন তরুণেরা যে পথে চলেছে , সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে কথা বলছে , সেটি ‘ ভুল ’ হচ্ছে । গতকাল শুক্রবার অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন , ' একটি দলকে নিষিদ্ধ করা দীর্ঘ প্রক্রিয়া । এতে জনমত গঠন এবং আইন - আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় । যেহেতু আওয়ামী লীগ তিনটি নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি , তাই তরুণেরা নির্বাহী আদেশে তিন নির্বাচনে দলটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলতে পারে । সেটা না করে তারা যে পথে নামছে , সেটা ঠিক কৌশল নয় । '

অধ্যাপক দিলারা বলেন , চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কৌশলে ভুল হলে সংস্কার ও নির্বাচন — দুই ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি আছে । অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন , সেনাবাহিনীকে সবকিছুতে টেনে আনা ঠিক নয় । সামরিক - বেসামরিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে গেলে স্থান , কাল ও পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখতে হয় । তা না হলে ঝামেলা দেখা দেয় । রাজনীতিতে এই নতুন উত্তাপ শুরু হয় মূলত ‘ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই ' — প্রধান উপদেষ্টা ড . মুহাম্মদ ইউনূসের এমন মন্তব্যের পর । ড . ইউনূস গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের কাছে মন্তব্যটি করেন । তিনি বলেন , আওয়ামী লীগের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে , তাঁদের বিচার করা হবে । আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে ড . ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি পোস্ট দেন । এতে তিনি বলেন , ‘ ড . ইউনূস , আওয়ামী লীগ ৫ আগস্টেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে । উত্তর পাড়া ও ভারতের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ওপেন করার চেষ্টা করে লাভ নেই । ’ এই পোস্টের ঘণ্টাখানেক পর আরেকটি বড় পোস্টে হাসনাত বলেন , ক্যান্টনমেন্ট থেকে তিনিসহ তিনজনের কাছে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী , সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে পরিশোধিত ( রিফাইন্ড ) আওয়ামী লীগকে সামনে আনার পরিকল্পনা গত ১১ মার্চ বেলা ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে উপস্থাপন করা হয় । পরিকল্পনাটি কে উপস্থাপন করেছেন , তা হাসনাত বলেননি । তাঁর দাবি , তিনি তৎক্ষণাৎ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দলটির বিচার নিয়ে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা উপস্থাপনকারীদের অনুরোধ করেন ।

হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল দুপুরের পর ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন । এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড . মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন , ‘ সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল ভেটো ( আপত্তি ) ছিল যে , ড . ইউনূস কেন ? কেন অন্য কোনো ব্যক্তি নয় । ড . ইউনূসের নামে মামলা আছে । তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি । একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে একটি দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে ! ” আসিফ ভিডিওতে সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে বলেন , ‘ আওয়ামী লীগকে কিছু লোক একেবারেই দেখতে ( পছন্দ করতে ) পারছে না । কিন্তু দেশের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ লোক আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে । দেশের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ লোকের বিরুদ্ধে গিয়ে একটি লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত কি । '

আসিফের দাবি , সেনাপ্রধান সর্বশেষ তাঁদের বলেন , ( সেনাপ্রধান ) ‘ বুকে পাথর চাপা দিয়ে ড . ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্তটি মেনে নেন । আসিফ মাহমুদ গতকাল দুপুরের পর ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন , গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েস বিপজ্জনক । এর আড়াই ঘণ্টা পর আরেকটি পোস্টে ফেসবুকে তিনি বলেন , নির্বাচন পিছিয়ে যাবে , অনিশ্চয়তা তৈরি হবে — এসব আশঙ্কার কথা বলে কেউ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জনতার ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না । সেনাপ্রধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও ক্যান্টনমেন্টের প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ্ দৌলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন , “ কোনো ধরনের মন্তব্য নেই । '

নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা করেন , দেশ একটি স্পর্শকাতর সময় পার করছে । এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে যত কম আলোচনা হয় , তত ভালো । কারণ , বৈরী মনোভাবাপন্ন বিদেশি শক্তিগুলো পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করতে পারে ।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব . ) শাহেদুল আনাম খান গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন , ‘ সেনাপ্রধান যখন কারও সঙ্গে কথা বলেন , তখন পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য কাউকে হয়তো আস্থায় নিয়ে কথা বলেন । সবাই তাঁর অবস্থানের সঙ্গে একমত না - ও হতে পারেন । কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথা হলো , তা বাইরে না আসা ভালো । ' সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান সম্পর্কে মন্তব্য থেকে দেশের ভেতরে বিভাজন তৈরি হওয়ার ঝুঁকি আছে , এমনটা উল্লেখ করে শাহেদুল আনাম খান বলেন , জুলাই - আগস্টে ছাত্র - - জনতার অভ্যুত্থানের সময় যে ঐক্য তৈরি হয়েছে , বিভিন্ন মহল নিজেদের স্বার্থে তা নস্যাতের চেষ্টা করছে । তিনি বলেন , এখন বিভাজন নয় , সংহতির সময় । এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা . শফিকুর রহমান গতকাল ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন , আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না । তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত , সতর্ক এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে দল - মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান । আওয়ামী লীগের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি ) গতকাল বিকেল পর্যন্ত দলের দুই নেতার তিনটি পুরোনো ভিডিও ক্লিপে দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে । গত ১৯ ফেব্রুয়ারির একটি ভিডিও অনুযায়ী , দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন , “ আওয়ামী লীগ নিয়ে কোনো কৌশল অন্তর্বর্তী সরকার করলে আমরা মেনে নেব না ; জনগণ মেনে নেবে না । ” এদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দী পাটওয়ারী গতকাল দুপুরের পর এক ফেসবুক পোস্টে বলেন , ‘ গত ৫৩ বছরে জামায়াতে ইসলামীকে বারংবার রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে । জেনারেল জিয়ার হাত ধরেই এই অবৈধ কাজ সম্পন্ন হয় । সেনা - জনতার অভ্যুত্থানের ফসল লুটকারী জিয়া জনগণের অভিপ্রায় তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে এই অবৈধ শক্তিকে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয় । ' নাসীরুদ্দীন কোনো ব্যক্তির নাম

উল্লেখ না করে অভিযোগ তোলেন ‘ ক্যান্টনমেন্টের যড়যন্ত্রকারীরা ' ছাত্র- নাগরিকদের গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করার অভিপ্রায়ে হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে । তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ‘ দেশবিরোধী চক্রান্তকে ’ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার লড়াইয়ে বিএনপি , জামায়াত ও প্রশাসনের বাংলাদেশের পক্ষের অংশকে ছাত্র - নাগরিকদের লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান ।

নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গতকালও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন । মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয় । গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনের এলাকা , পল্টন , প্রেসক্লাব , শাহবাগ , হাইকোর্ট , সার্ক ফোয়ারা , সংসদ ভবন , রামপুরা টিভি স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে । এসব এলাকায় জলকামান , এপিসি ও টহল টিম মোতায়েন ছিল । সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করতেও দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের । গতকাল দুপুরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে তিনটি গাড়িসহ সেনাবাহিনীর একটি প্লাটুন ( ২৫-৩০ জন ) অবস্থান নেয় । টহল গাড়ির ওপর রাইফেল তাক করা ছিল এবং জনসমাগম হলে সেটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হচ্ছিল । পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদেরও সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে । এদিকে শাহবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ চললেও পাশেই ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল এবং সন্দেহভাজনদের তল্লাশি চালায় । কেউ ছবি ভিডিও করতে দিলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় । নিরাপত্তা তৎপরতা প্রসঙ্গে পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন , ‘ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে । ’