
লায়লা ফেরদৌসী অন্তী
ফ্লোটিলা অভিযান এবং বর্বর ইসরায়েলি/ হিব্রু জাতি নিয়ে কিছু কথা বলব। বেশ তথ্যবহুল লেখা হবে। তাই সবাইকে ধৈর্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ করব। কয়েক দিন আগে আমি মুসা (আঃ) আর ফেরাউনের (রামেসেস) ওপর নির্মিত একটা সিনেমা; যার মূল গল্প নেওয়া হয়েছে ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে। তার গল্প বিস্তারিত লিখে একটা পোস্ট করেছিলাম। তখন অনেকে আমাকে ইনবক্স করেন, এটা যেহেতু বিকৃত গল্প, ইসলামের ভিত্তিতে আসল ইতিহাসটা লিখতে। আমি অর্থনীতির ছাত্রী হলেও আমার পছন্দসই বিষয় হলো ইতিহাস, বিশেষ করে ইজিপ্টশিয়ান, মেসোপোটেমিয়া, ওসমানীয় ও ইসলামের খেলাফত নিয়ে পড়াশোনা করার চেষ্টা করি। মিসরীয় সভ্যতা নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম, মিসরীয় সম্রাট যারা ফারাও উপাধি নিয়ে ক্ষমতাতে আরোহন করতেন, তারা নিজেদের লিভিং গড বলতেন। অর্থাৎ তাদের উপাসনা করার নির্দেশ করতেন তৎকালীন মিসরীয়দের। তারা যেহেতু লিভিং গড, তাদের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পর তাদের আত্মা আবার ফিরে আসতে পারবে। ফারাওদের মৃতদের পিরামিডে মমি করে রাখার প্রচলন ছিল। হিব্রু জাতি বা ইসরায়েলিরা বর্বরোচিত এক জাতি, যারা বারবারই আল্লাহর রহমত পাওয়ার পরও আল্লাহ পাকের নির্দেশ অমান্য করেছে এবং শিরকে লিপ্ত হয়েছে। প্রচণ্ড রকম অবাধ্য ও অকৃতজ্ঞ জাতি তারা।
হিব্রু জাতি (বর্তমানে ইসরায়েলি জাতি নামে পরিচিত) সেই জাতি, যারা মুসা (আঃ)-এর নেতৃত্বে মিসরের রামেসেস বা ফেরাউনের শাসনের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়েছিল এবং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী চলতে শুরু করেছিল। তাদের পূর্বপুরুষ ছিল ইবরাহিম (আঃ)। যিনি আল্লাহর একাত্বের ওপর বিশ্বাসী ছিলেন এবং যাকে আল্লাহ তার জাতির জন্য নবী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। ইসরায়েলি জাতি ইবরাহিম (আঃ)-এর বংশধর এবং তাদের মধ্যে সেরা ছিলেন ইসরাইল, যাকে ইয়াকুব (আঃ) নামে জানি। যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী নির্বাচিত হন। মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআনের হজরত মুসা (আঃ)-কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মহান নবি হিসেবে দেখানো হয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পরে তার সম্পর্কে সর্বোচ্চ আলোচনা কোরআনে রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুসা (আঃ) সম্পর্কিত ১৩৪টি আয়াত রয়েছে।
মুসা (আঃ) জীবনের বিভিন্ন দিক কোরআনে বিভিন্ন সুরায় বর্ণিত হয়েছে। তার জীবনের প্রধান ঘটনা যেমন, মিসরের ফারাওয়ের সঙ্গে সংগ্রাম, হিব্রু জাতিকে মুক্ত করা, লোহিত সাগর পার হওয়া এবং শিরক ও শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার সংগ্রাম, কোরআনের বিভিন্ন সুরায় রয়েছে। বর্তমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ইহুদি জাতি মুসা (আঃ) নিয়ে আমার আগ্রহ বরাবরই অনেক। তার অবস্থা ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদি—সব ধর্মেই বেশ ইনফ্লুয়েন্সিয়াল। মুসা (আঃ)-এর ওপরে আবর্তিত ধর্মগ্রন্থের নাম ‘তওরাত’। এটি ইহুদি ধর্মের অন্যতম প্রধান গ্রন্থ এবং ইসলাম ধর্মেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামি বিশ্বাসে, তওরাত একসময় পুরোপুরি ঈশ্বরের ভাষায় নাজিল হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে এটি বিকৃত হয়ে যায়। অল্ড টেস্টামেন্ট মূলত তাওরাতের বিকৃত রূপ।
ইবরাহিম (আঃ) থেকে শুরু করে ইয়াকুব (আঃ) এবং তার সন্তানদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, যা ইসলাম ধর্মীয় ইতিহাসের অংশ। ইয়াকুবের ১২ জন সন্তান ছিল, যারা পরবর্তী সময়ে ১২টি উপজাতির সৃষ্টি করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলেন হাশিম, বেনিয়ামিন ও ইউসুফ (আঃ)। ইসরায়েলি জাতি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে মিসরে গিয়ে তারা দুর্দশায় পড়ে। ফেরাউনের অত্যাচারের শিকার হয়ে তারা সেখানে ৪০০ বছরের অধিক সময় দাসত্বে ছিল (এই সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে)।
মুসা (আঃ)-এর জন্ম মিসরের সেই অন্ধকার সময়ে হয়েছিল। যখন ফেরাউন ইসরায়েলি জাতির ছেলে সন্তানদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন। ফেরাউনের কাছে এক ভবিষ্যৎ বাণী ছিল যে, এক ইসরায়েলি যুবক তার রাজত্বের সমাপ্তি ঘটাতে পারে। তাই সেসব ইসরায়েলি ছেলে সন্তানকে হত্যা করতে বলেছিল। মুসা (আঃ)-এর জন্মের পর তার মা (যাকে আল্লাহর নির্দেশ দিয়েছিলেন) তাকে একটি ঝুড়িতে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেন, যাতে ফেরাউন তাকে হত্যা না করতে পারে। আল্লাহর কৃপায়, মূসা (আঃ)-এর ঝুড়ি ফেরাউন ও তার স্ত্রীর কাছে পৌঁছায়। ফেরাউনের স্ত্রী তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেন। কিন্তু মুসা (আঃ)-এর প্রকৃত মা তাকে দুধ খাওয়ানোর সুযোগ পান। এটি আল্লাহর এক অসীম কৃপা, যা মুসা (আঃ)-কে ফেরাউন পরিবারের মধ্যে নিরাপদে বড় হতে সহায়তা করেছিল। (সুরা কাসাস, ২৮:৭-১৩)।
রামেসেস মিসরের নবমতম এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজা হিসেবে পরিচিত। তার রাজত্বকাল প্রায় ৬৬ বছর, যা মিসরের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যাপার। কোরআনের ফেরাউনের যে বর্ণনা এসেছে, সেই ফেরাউন সম্ভবত রামেসেস II হতে পারেন। কারণ, রামেসেস II মিসরের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দীর্ঘকাল শাসনকারী রাজা ছিলেন। রামেসেস। তার রাজত্বকাল কোরআনে বর্ণিত ফেরাউনের সময়কাল থেকে মিল রয়েছে। ফেরাউনকে মিসরের ইতিহাসের এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।
মুসা (আঃ)-এর পরিচয় প্রকাশিত হলে তিনি মিসর থেকে পালিয়ে মদিয়ান শহরের দিকে চলে যান। একদিন মুসা (আঃ) একটি জলাশয়ের কাছে গিয়ে দুজন নারীকে পানি তুলতে দেখেন। তিনি তাদের সাহায্য করেন এবং মেয়ে দুজন তাদের বাবার কাছে নিয়ে যান। তাদের বাবা, যিনি একজন ধর্মভীরু ব্যক্তি ছিলেন, মুসাকে তার এক কন্যার সঙ্গে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। এ কন্যার নাম ছিল ‘সেফুরা’ (রহঃ)। মুসা (আঃ) তার সাহায্য গ্রহণ করেন এবং ৮ বছর বা ১০ বছর মদিয়ানে থেকে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। (সূরা আল-কাসাস, ২৮:২৩-২৮)।
মুসা (আঃ) যখন মদিয়ান থেকে ফেরার পথে একটি আগুন দেখে আল্লাহর নির্দেশে তা দেখতে যান, তখন আল্লাহ তাকে নবুওয়াত প্রদান করেন। তিনি আল্লাহর কাছ থেকে সিজদা করাতে শুরু করেন এবং আল্লাহ তাকে ফেরাউনকে ইমানের আহ্বান জানাতে মিসরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আল্লাহ মুসা (আঃ)-কে তার বিশাল শক্তি এবং তার সম্মান দিয়ে উপহার দেন। (সুরা ত্বাহা, ২০:৯-২৪)।
মুসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে ফেরাউনকে তার শাসন থেকে বিরত করতে এবং ইসরায়েলি জাতির মুক্তির জন্য আল্লাহর বার্তা পৌঁছানোর জন্য মিসরে ফিরে আসেন। কিন্তু ফেরাউন মুসা (আঃ)-এর আহ্বান অগ্রাহ্য করে এবং তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়।
ফেরাউনকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলার পর সে অস্বীকার করে এবং মুসা (আঃ)-কে মেরে ফেলার জন্য চক্রান্ত করে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব আসে। যেমন মিসরের নীল নদের পানি রক্তে পরিণত হয়, আকাশে অন্ধকার এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে। তবু ফেরাউন তার অহংকার ছাড়ে না। পরিশেষে আল্লাহ মুসা (আঃ)-কে মিসর ত্যাগ করার নির্দেশ দেন এবং সাগরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ইসরায়েলি জাতিকে নিরাপদে পার করেন। ফেরাউন ও তার বাহিনী সাগরে তলিয়ে যায়। (সুরা আল-ইসরা, ১৭:১০৩) মূসা (আঃ) ৪০ দিন আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মাউন্ট সিনাইতে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি তওরাত (তাহকিককৃত) গ্রহণ করেন এবং ইসরায়েলি জাতির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু মুসা (আঃ)-এর অনুপস্থিতিতে ইসরায়েলি জাতি সোনালি বাছুর তৈরি করে তার পুজা শুরু করে, যা শিরক। মুসা (আঃ) তাদের শিরক দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং তাদের তওবা করার আহ্বান জানান। (সুরা আল-আ’রাফ, ৭:১৪৮-১৫১)
মুসা (আঃ)-এর জীবনের শেষ সময়ের বর্ণনা কোরআনে পাওয়া যায়। ইসরায়েলি জাতি দীর্ঘ সময় মিসরে বিশ্রামে থাকার পর আল্লাহ তাদের জন্য আজাব পাঠান এবং তাদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য শাস্তি প্রদান করেন। মুসা (আঃ) একসময় আল্লাহর কাছে মৃত্যুর জন্য আবেদন করেন এবং আল্লাহ তার মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করেন। মুসা (আঃ)-এর মৃত্যুর পর ইসরায়েলি জাতির কাছে তার উত্তরসূরি গ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহর বিধান বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আল্লাহ তায়ালা হিব্রু জাতির ওপর তার অশেষ রহমত প্রদর্শন করেছেন।
এ রহমত বিভিন্ন দিক থেকে প্রকাশ পেয়েছে—
১. মিসর থেকে মুক্তি
২.মান্না ও সালওয়া: ইসরায়েলি জাতির খাদ্যের অভাবের সময় আল্লাহ তাদের জন্য আকাশ থেকে মন্না (মিষ্টি খাবার) এবং সালওয়া (পাখি) প্রেরণ করেন, যা তাদের খাদ্য চাহিদা পূর্ণ করে (সূরা আল-বাকারা, ২:৫৭)।
৩. তওরাত প্রদান: আল্লাহ মুসা (আঃ)-কে তওরাত (বিধি-বিধান) প্রদান করেন, যা ইসরায়েলি জাতির জন্য এক পরিপূর্ণ জীবনবিধি ছিল। এতে তাদের সামাজিক, ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক দিকের পূর্ণ দিকনির্দেশনা ছিল।
৪. ধর্মীয় শিক্ষা: আল্লাহ তাদের বহুবার সরল পথ দেখিয়েছেন, যেমন মাউন্ট সিনাইয়ে ৪০ দিন আল্লাহর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় মুসা (আঃ)-কে তওরাত প্রদান করা হয়, যা ইসরায়েলি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন।
এ ছাড়া ইসরায়েলি জাতি বহুবার আল্লাহর আদেশ অগ্রাহ্য করেছে এবং শিরক ও গাফিলতি করেছে, ফলে আল্লাহ তাদের ওপর আজাবও পাঠিয়েছেন। কোরআনে তাদের ওপর বিভিন্ন সময় আল্লাহর শাস্তির বর্ণনা এসেছে-
১. সোনালি বাছুরের পূজা (শিরক): মূসা (আঃ)-এর মাউন্ট সিনাইয়ে থাকার সময় ইসরায়েলি জাতি সোনালি বাছুর তৈরি করে তার পূজা করতে শুরু করে। মুসা (আঃ)-এর ফিরে আসার পর তিনি তাদের শিরক দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং তাদের তওবা করার জন্য আহ্বান জানান। এ শিরক তাদের জন্য কঠিন শাস্তির কারণ হয়। (সুরা আল-আ’রাফ, ৭:১৪৮-১৫১)
২. জাহান্নামের জন্য প্রেরণ: ইসরায়েলি জাতি একাধিকবার আল্লাহর আদেশ অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের মধ্যে শিরক ও গাফিলতি দেখা গেছে। আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষতি এবং শাস্তি নির্ধারণ করেন, যেমন তারা দীর্ঘ ৪০ বছর মৌ মরুভূমিতে ভ্রমণ করতে থাকে এবং সেই সময়কাল তাদের জন্য শাস্তির ছিল। (সুরা আল-বাকারা, ২:৬০-৬১)
৩. লানত ও অভিশাপ: কোরআনে বর্ণিত আছে যে, তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর রাসুলদের প্রতিরোধ করেছে, তাদের ওপর অভিশাপ নেমে এসেছে। আল্লাহ তাদের ওপর লানত ও অভিশাপ করেন। (সুরা আল-মায়েদাহ, ৫:৭৮)
৪. মৃত্যু ও বিপদ: আল্লাহ তাদের একাধিকবার বিপদে ফেলেছে, যেমন তারা অনেক সময় আল্লাহর সৃষ্ট খাদ্য এবং পানির প্রতি অভিযোগ করেছে, যা তাদের অভিশাপ ও পরীক্ষার অংশ ছিল। (সূরা আল-বাকারা, ২:৬১)
আল্লাহ হিব্রু জাতির প্রতি অনেক কৃপা প্রদর্শন করেছেন এবং তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেছেন। কিছু সময় তারা আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলেছিল এবং কিছু সময় তাদের মধ্যে তাওবা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার প্রবণতা দেখা গেছে। তবে তাদের পথচলা ছিল কখনো সরল, কখনো জটিল।
বর্তমানে তারা ফিলিস্তিনে যে বর্বরতা দেখাচ্ছে, এটা তাদের রক্তের বয়ে যাওয়া হাজার বছর ধরে অকৃতজ্ঞতার পরিচায়ক। ফ্লোটিলা অভিযান আমার কাছে স্রেফ আইওয়াশ ছাড়া কিছু মনে হয় না। গাজাবাসীকে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর কোনো উদ্দোগ নেই, স্রেফ কিছু গুটিকয়েক মানবাধিকার কর্মী ও শিল্পী তাদের নিজস্ব উদ্যোগে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তা দেখার জন্য টানটান উত্তেজনা নিয়ে বসে আছি কী হয় তা দেখতে। বিষয়টা এমন নয়, আমাদের দৃষ্টি অন্য প্রেক্ষাপটের নিয়ে আরও বড় গণহত্যার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলি?
[মতামত লেখকের নিজস্ব]
লেখক: সহকারী অধ্যাপক (ইকোনমিকস), গ্রিন বিজনেস স্কুল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ