রাজধানীর মিরপুর ৭ নম্বর এলাকায় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজি থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কঠোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফোটানো আতশবাজি থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মতো মিরপুর ৭ নম্বর এলাকাতেও আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আতশবাজি ফোটানোর এক পর্যায়ে একটি ভবনের অংশে আগুন লেগে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তৎপরতা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বর্তমানে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে। এই গাম্ভীর্য বজায় রাখতে এবং জানমালের নিরাপত্তায় ডিএমপি থার্টি ফার্স্ট নাইটে সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করেই ১ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় বিকট শব্দে আতশবাজি ও পটকা ফাটিয়ে ২০২৬ সালকে স্বাগত জানানো হয়।
রাজধানীর অন্যান্য এলাকা থেকেও গভীর রাত পর্যন্ত বাজি ফোটানোর খবর পাওয়া গেছে, যা জনমনে আতঙ্ক ও বিরক্তির সৃষ্টি করেছে।