থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে রাজধানীজুড়ে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফোটানো হচ্ছে আতশবাজি। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হওয়া আতশবাজির আওয়াজ ১২টা ৪০ অর্থাৎ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর বহু এলাকা থেকে শোনা যাচ্ছিল।
এর আগে সকালেই খ্রিস্টিয় বর্ষবরণের রাত, অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আগেই ঢাকায় ফানুস ওড়ানো এবং পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত একই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তায় থাকছে পোশাকধারী র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা সদস্য। টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ফানুস থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি এড়াতে মেট্রোরেলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাইন পরিষ্কার রাখার জন্য একটি টিম কাজ করবে। এমআরটি পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নজরদারি কঠোরভাবে চলবে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অগ্নিদুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক কোনও কিছু দেখলে স্থানীয় থানায় জানাতে বলা হয়েছে।