Image description
 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনি এলাকায় কঠোর তদারকি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চারটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ইসির সচিবালয় থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

 

ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় গঠিত কমিটিগুলো হলো: ১. ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম ২. নির্বাচন মনিটরিং টিম ৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল ৪. ভ্রাম্যমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ইউনিট (মোবাইল টহল ইউনিট)

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার এই কমিটিগুলোর সভাপতিত্ব করবেন। উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা। প্রতিটি কমিটিকে আইন ও নির্বাচনি বিধিমালা কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

প্রধান দায়িত্ব ও কার্যাবলি:

 

আচরণবিধি তদারকি: ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা পর্যবেক্ষণ করবে। কোনো অনিয়ম পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও কমিশনে দৈনিক প্রতিবেদন জমা দেবে।

নিরাপত্তা জোরদার: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোটারদের জন্য নিরাপদ যাতায়াতের পরিবেশ তৈরি করা হবে।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার: পুলিশ সুপার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সমন্বয় করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভোটারদের উৎসাহ প্রদান: নারী ভোটারসহ সকল সাধারণ ভোটার যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।

এছাড়াও, প্রার্থীদের এজেন্ট ও সমর্থকদের আচরণবিধি ভঙ্গের শাস্তি সম্পর্কে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসির এই পদক্ষেপ নির্বাচনি পরিবেশকে আরও আস্থাশীল ও নিরাপদ করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।