রাজশাহীর বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা পাবনা জেলা পুলিশ সদর কোর্টে কর্মরত কনস্টেবল নামাজুল ইসলামকে তাহেরপুর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন কনস্টেবল নামাজুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা তামান্না। এ সময় তার শাশুড়ি নাসিমা বেগম ও ননদ ফারজানা হক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রোকসানা তামান্না দাবি করেন, প্রতিবেশি আবুল হোসেনের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরে আবুল হোসেনের জামাই তাহেরপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম গত ১৯ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে তার স্বামী কনস্টেবল নামাজুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই দিনই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় কনস্টেবল নামাজুলের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবুল হোসেনের বড় মেয়ে আকলিমা বিবি তাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। বর্তমানে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত তাহেরপুর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
বাগমারা থানার ওসি সাইদুল আলম বলেছেন, কনস্টেবল নামাজুল ইসলামকে হত্যার হুমকি ও তার স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগ ও জিডি পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।