১৭ বছর পর দেশে ফিরে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ-ভাবে দেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানিয়েছেন নতুন বাংলাদেশ গড়তে নিজের পরিকল্পনার কথা। ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান’ এক বাক্যে তিনি স্পষ্ট করেছেন দেশের জন্য বড় পরিকল্পনা নিয়েই প্রত্যাবর্তন করেছেন।
সংবর্ধনার জবাবে দেশবাসীকে যেকোনো মূল্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর তিনশ’ ফিটে আয়োজিত গণসংবর্ধনা মঞ্চের বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। মঞ্চে পৌঁছেই উপস্থিত জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরপর মঞ্চে নির্ধারিত বিশেষ চেয়ারে না বসে সাধারণ চেয়ারে বসে উপস্থিত সবাইকে চমকে দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর ডায়াসে দাঁড়ান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি জনতার সামনে দাঁড়িয়ে অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
‘আসসালামু আলাইকুম বাংলাদেশ’ বলে বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আজ প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো লক্ষ কোটি শুকরিয়া জানাতে চাই। রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের মাঝে।
আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ঠিক একইভাবে পঁচাত্তরের আবার ৭ই নভেম্বর আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সেদিন সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা হয়েছিল। একইভাবে পরবর্তীতে নব্বইয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ, এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু তারপরেও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। আমরা তারপর দেখেছি ২০২৪ সালে, ৭১ সালে এই দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে এদেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী-পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ দলমত নির্বিশেষে, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষ সেদিন ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এই দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আজ আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, এই দেশে একইভাবে সমতলেরও মানুষ আছে। এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই সকলে মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু যেই হোক না কেন, নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে নিরাপদে ইনশাআল্লাহ ঘরে আবার ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, এই দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য। পাঁচ কোটির মতন শিশু। ৪০ লক্ষের মতন প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন। কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছেন। এই মানুষগুলোর একটি প্রত্যাশা আছে এই রাষ্ট্রের কাছে। এই মানুষগুলোর একটি আকাঙ্ক্ষা আছে এই দেশের কাছে। আজ আমরা সকলে যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আজ আমরা যদি সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, তাহলে এই লক্ষ কোটি মানুষের সেই প্রত্যাশাগুলো পূরণ করতে পারি ইনশাআল্লাহ।
তারেক রহমান বলেন, ৭১ সালে আমাদের শহীদরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এইরকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শত শত হাজারো গুম-খুনের শিকার হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জীবন দিয়েছে। ২০২৪ সাল, মাত্র সেদিনের ঘটনা, কীভাবে আমরা দেখেছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা কীভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য।
কয়েকদিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের, এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে, ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। প্রিয় ভাই-বোনেরা, ওসমান হাদি চেয়েছিল এই দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। এই দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। আজ চব্বিশের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, ওসমান হাদিসহ একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে বিভিন্নভাবে গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, এই মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়- আসুন, আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যেখানে আমরা সকলে মিলে কাজ করবো। যেখানে সকলে মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচরেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে। আমাদেরকে ধৈর্যধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দিবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন। এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে এই দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি। শক্ত ভিত্তির উপরে গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির উপরে যাতে এই দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আজ মঞ্চে এখানে বহু জাতীয় নেতৃবৃন্দ বসে আছেন। আসুন, আজকে আমরা দু’হাত তুলে আল্লাহ্র দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ্র রহমত আমরা চাই। যে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ এই মঞ্চে আছেন, মঞ্চের বাইরে যে সকল জাতীয় আরও নেতৃবৃন্দ আছেন, আমরা সকলে মিলে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশিত সেই বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে, যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। যেকোনো উস্কানির মুখে আমাদেরকে ধীর-শান্ত থাকতে হবে। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা দেশে শান্তি চাই। আমরা দেশে শান্তি চাই। আমরা দেশে শান্তি চাই।
দেশবাসীকে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, মার্টিন লুথার কিং, নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা, মার্টিন লুথার কিং? তার একটি বিখ্যাত ডায়লগ আছে - “ও যধাব ধ ফৎবধস”. আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসাবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই - “I have a plan for the people of my country, for my country.”
আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যদি সেই প্ল্যান, সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়... প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ উপস্থিত আছেন- প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, ইনশাআল্লাহ আমরা “I have a plan” বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।
আসুন, আমরা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি। আমরা যেন, হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী- আজ আপনি যদি আমাদের রহমত দেন, তাহলে আমরা এই দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবো। আজ যদি আল্লাহ্র রহমত এই দেশ এবং এই দেশের মানুষের পক্ষে থাকে, আল্লাহ্র সাহায্য, আল্লাহ্র দয়া এই দেশের মানুষের উপরে, এই দেশের উপরে থাকে- ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, আজ আসুন, আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি যে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সকলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
আজ আপনারা জানেন, এখান থেকে আমি আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাবো। এই একটি মানুষ, যে মানুষটি এই দেশের মাটি, এই দেশের মানুষকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তার সঙ্গে কী হয়েছে আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসাবে আপনাদের কাছে আমি চাইবো আজ আল্লাহ্র দরবারে আপনারা দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ উনাকে তৌফিক দেন, উনি যাতে সুস্থ হতে পারেন।
তিনি বলেন, সন্তান হিসাবে আমার মন আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে সেই হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু সেই মানুষটি যাদেরকে, যাদের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছেন অর্থাৎ আপনারা, এই মানুষগুলোকে, যাদের জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জীবন উৎসর্গ করেছেন নিজের জীবন, সেই মানুষগুলোকে আমি কোনোভাবেই ফেলে যেতে পারি না এবং সেজন্যই, সেজন্যই আজ হাসপাতালে যাবার আগে আপনাদের প্রতি সহ টেলিভিশনগুলোর মাধ্যমে যারা সমগ্র বাংলাদেশে আমাকে দেখছেন, আপনাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আজ আমি এখানে দাঁড়িয়েছি আপনাদের সামনে।
তিনি বলেন, আসুন, আমাদের আজকে নিশ্চিত করতে হবে আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, আমরা যে শ্রেণির মানুষ হই, আমরা যে দলেরই রাজনৈতিক দলের সদস্য হই অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই- আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যেকোনো মূল্যে আমরা আমাদের এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলাকে ধরে রাখতে হবে। যেকোনো মূল্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যেকোনো বয়স, যেকোনো শ্রেণি, যেকোনো পেশা, যেকোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকে- এই হোক আমাদের চাওয়া আজকে। প্রিয় ভাই-বোনেরা আসুন, সবাই মিলে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করবো কাজ, গড়বো মোদের বাংলাদেশ। ইনশাল্লাহ আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চেয়ে, আবারো সকলকে যেকোনো মূল্যে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে, যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিহার করে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। আবারো আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আজকে আমাকে এভাবে বরণ করে নেয়ার জন্য। তারেক রহমানের আগে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া দীর্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, আমজনতার দলের তারেক রহমান উপস্থিত ছিলেন।