Image description

৫ আগস্টের গণঅভ্যুথান পরবর্তী বাস্তবতায় দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান কবে বাংলাদেশ আসবেন, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতোমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করছেন। 

২০০৭ সালে তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একটি মামলায় তাকে কারাগারে নেয়ার পর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যাওয়ার আবেদন। সরকার সম্মতি দিলে তিনি ২০০৮ সালের  ১৭ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পৌঁছান এবং এরপর থেকে সেখানে নির্বাসনে ছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আগ্রহ তৈরি হয় তার প্রেক্ষিতে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে যে, ‘তারেক রহমান দেশে আসছেন’।

গুঞ্জন নির্ভর এই ধরনের খবর প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২৪ এর অক্টোবর মাস থেকে এবং সর্বশেষ চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। এই ১৪ মাস সময়ের মধ্যে দেশের মূলধারার  সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিষয়ক খবর দেয়া ২৮টি প্রতিবেদন সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ করেছে দ্য ডিসেন্ট। গুগলে কাস্টমাইজড সার্চের মাধ্যমে প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে; এতে করে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক বা অনলাইন মিডিয়ার ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভিডিও রিপোর্ট এই সার্চে আসেনি।

এতে দেখা গেছে, এসব প্রতিবেদনের একটিতেও তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঠিক কোন দিন তারিখ উল্লেখ না করে কোন মাসে বা কোন উপলক্ষ্যে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে তা জানানো হয়েছে। এই ধরনের ‘মাস’ বা ’উপলক্ষ্য’ হিসেবে মোট ১৩টি সম্ভাব্য সময় বা উপলক্ষ্যের কথা জানানো হয়েছিল। এবং বিশ্লেষণ করা ২৮টি প্রতিবেদনের একটিতেও নাম উল্লেখ করে কোন সূত্রের বরাতে খবরগুলো দেয়া হয়নি। সর্বক্ষেত্রেই দেখা গেছে, নাম-পরিচয়হীন সূত্রের বরাতে এই ‘বিশেষ’ প্রতিবেদনগুলো তৈরি করা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে তারেক রহমান দেশে ফেরার যেসব সময় বা উপলক্ষ্য উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘জানুয়ারি মাসে’, ’ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে’, ’এপ্রিলে’, ’২৮ জুলাই’, ’পাঁচ আগস্টের আগে’, ’আগস্টের শেষে’, ’সেপ্টেম্বরের শুরুতে’, ’তফশিলের পরে’, ’নভেম্বরে’, ’৭ ডিসেম্বর তারিখে’, ’শিগগিরই’, ’বিজয় দিবসের আগেই’, ’নির্বাচনের আগে/পরে’।

 

ছবি/দ্য ডিসেন্ট

২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ মাসের মধ্যে মোট সাতটি মাসে এ ধরনের বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনটি, ডিসেম্বর মাসে ছয়টি, চলতি জানুয়ারি মাসে একটি, জুন মাসে চারটি, জুলাই মাসে পাঁচটিটি, অক্টোবর মাসে চারটি, নভেম্বর মাসে পাঁচটি স্টোরি প্রকাশ হয়েছে।

এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়েছে মোট ২০টি সংবাদমাধ্যমে। এগুলো হলো— দেশ রূপান্তর (৩), যুগান্তর (২), সময়ের আলো (২), দৈনিক ইনকিলাব (২), বাংলানিউজ২৪ (২), আমাদের সময় (২), জাগোনিউজ২৪ (২), এখন (১), এটিএন নিউজ (১), ইত্তেফাক (১), টিবিএস নিউজ (১), যায়যায়দিন (১), ঢাকাটাইমস২৪ (১), বাংলাদেশ প্রতিদিন ইউটিউব (১), কালের কণ্ঠ (১), প্রথম আলো (১), আজকের পত্রিকা (১), দৈনিক জনকণ্ঠ (১), মাই টিভি (১) এবং মানবজমিন (১)।

প্রতিবেদনগুলোতে নামহীন সূত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছে এভাবে: “সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের অনুমান”, ”দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র”, ”বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র”, ”দলীয় সূত্রে জানা গেছে” ইত্যাদি। 

কয়েকটি প্রতিবেদনে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ”বিএনপি নেতার কয়েকজন উপদেষ্টা ও ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা”, ”একাধিক নেতা জানিয়েছেন”, ”ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট সূত্র ও বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে”, ”দলীয় এবং সরকারি একাধিক সূত্রের দাবি”  ইত্যাদি।

একটি প্রতিবেদনেও বিএনপির কোন নেতা, তারেক রহমানের কোন উপদেষ্টা বা পরিবারের সদস্য এরকম কারো নাম উল্লেখ করে এসব প্রতিবেদন করা হয়নি।

কয়েকটি প্রতিবেদনে ”বিএনপিতে আলোচনা রয়েছে”, ”গুঞ্জন রয়েছে”-- এমন সূত্রও ব্যবহার করা হয়েছে।

নিচে বিএনপি চেয়ারপারসনের আগমনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে করা প্রতিবেদনগুলো মাস ভিত্তিক তুলে ধরা হয়েছে।

 

ফেরার তারিখ জানুয়ারিতে

২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর ‘একাধিক নেতার সূত্রে’ প্রধান সংবাদ প্রকাশ করে দেশ রূপান্তর। ‘জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক’ শিরোনামে রেজাউল করিম লাবলুর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ঢাকা ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তারেক রহমানের’।

একই তারিখে দৈনিক আমাদের সময়ে ‘দলটির একাধিক নেতা বলছেন’ সূত্রে ‘জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক, বাধা হয়ে আছে মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

গত ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর দৈনিক জনকন্ঠে ‘কবে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান? যা জানা গেল’ শিরোনামে খবরে লেখা হয়, ‘বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার নেতারা জানিয়েছেন, শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।’

গত ২০২৪ সালের ০২ ডিসেম্বর মাইটিভির অনলাইন পোর্টালে ‘জানুয়ারিতে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘আগামী জানুয়ারিতে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’ এতে বলা হয়, ‘দলের একাধিক নির্ভরযোগ্যসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে’।

ছবি/দ্য ডিসেন্ট

 

ফিরতে পারেন ফেব্রুয়ারিতে

২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর যুগান্তরে ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান’ শিরোনামে যুগান্তর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘দ্রুততম সময়ে এসব মামলায় খালাস পেলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে বিএনপিতে আলোচনা রয়েছে’।

একইদিনে জাগোনিউজে “তারেক রহমান কি আসলেই ‘শিগগির’ দেশে ফিরছেন?” শিরোনামে খালিদ হোসেনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের অনুমান, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন’।

একদিনে ১১ ডিসেম্বর ফের দেশ রূপান্তরে ‘ফেব্রুয়ারিতেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের অনুমান, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন’।

২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর সময়ের আলোতে ‘ফেব্রুয়ারিতে ফিরছেন তারেক রহমান’ শিরোনামে রফিক রাফির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরবেন। সপরিবারে ঢাকা ফিরে তিনি গুলশানে উঠবেন। তার থাকার জন্য ৩টি বাসা দেখা হয়েছে’। ‘দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

২১ ডিসেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি, খোঁজা হচ্ছে বাসা’ শিরোনামে রেজা করিমের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রবল আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। গুঞ্জন রয়েছে, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন’।

 

এপ্রিলে ফিরবেন

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘এপ্রিলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট সূত্র ও বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে আগামী এপ্রিলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’।

 

পাঁচ আগস্টের আগেই ফিরছেন

চলতি বছরের ১২ জুন বাংলানিউজ২৪-এ ‘৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান’ শিরোনামে সিফাত বিনতে ওয়াহিদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক রহমান ৫ আগস্টের আগেই বাংলাদেশে ফিরছেন।’।

১৫ জুন যুগান্তরে ‘বিএনপি শিবিরে উচ্ছ্বাস, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান’ শিরোনামে তারিকুল ইসলামের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানাতে প্রায় ১০ লাখ লোক সমবেত হতে পারে রাজধানী ঢাকায়। বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে’।

২৯ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়, ‘২৮ জুলাই দেশের মাটিতে পা রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।’

ছবি/দ্য ডিসেন্ট

 

আগস্টের শেষ সপ্তাহে আসছেন

গত ১৬ জুন বাংলানিউজ২৪-এ ‘যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান’ শিরোনামে প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘দলীয় সূত্র ও ঘনিষ্ঠজনদের মতে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন’।

এরপর ৫ জুলাই প্রথম আলোতে ‘তারেক রহমান দেশে ফিরছেন কবে’ শিরোনামে সেলিম জাহিদের প্রতিবেদন লেখা হয়, ‘বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমানের দেশে ফেরার একটি সম্ভাবনা আছে। তবে সেটিও চূড়ান্ত কিছু নয়’।

৬ জুলাই কালের কণ্ঠে ‘কবে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান?ন’ শিরোনামে বলা হয়, ‘দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান আগামী আগস্টের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন, যদিও এটি এখনো চূড়ান্ত নয়’।

একই দিনে জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘এক বছর পরেও অপেক্ষা, এবার কি ফিরছেন তারেক রহমান?’ শিরোনামে সংবাদে লেখা হয়, চারটি তারিখ আলোচনায়, ২৮ জুলাই, পাঁচ আগস্ট ফিরতে পারেন। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতে উল্লেখ করা হয়।

গত ২৩ জুলাই ঢাকা টাইমসে ‘এখনই ফিরছেন না তারেক রহমান, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অপেক্ষা’ শিরোনামে মোরশেদুল জাহেরের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠদের তথ্য, সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরতে পারেন তিনি’।

পরেরদিন ২৪ জুলাই যায়যায়দিনে ‘দেশে ফিরছেন তারেক রহমান’ শিরোনামে প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তপসিল ঘোষণার আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’।

 

নভেম্বরে ফিরছেন

গত ১১ অক্টোবর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় ‘১৭ বছরের নির্বাসন শেষে নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরছেন তারেক রহমান’ শিরোনামে জিয়া চৌধুরীর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি নেতার কয়েকজন উপদেষ্টা ও ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা তার দেশে ফেরার এই পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন’।

একই দিনে ইত্তেফাক ও এটিএন নিউজের পোর্টালে ‘নভেম্বরে ফেরার’ সংবাদটি প্রচার হয় ‘দলীয় সূত্র এবং বিএনপি নেতাদের কয়েকজন উপদেষ্টা ও ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সূত্রে’।

২৬ অক্টোবর এখন টিভিতে ‘ওমরাহ শেষেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ শিরোনামে সিফাত শাহরিয়ারের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ওমরাহ করতে সৌদি আরব যেতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওমরাহ শেষেই দেশে ফিরবেন তিনি- এমনটাই নিশ্চিত করেছে বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র’।

একই দিনে ডেইলি যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলেও ‘ওমরাহ শেষেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ শিরোনামে সংবাদ আইটেম প্রচার করা হয়।

দ্য ডিসেন্ট

 

বিজয় দিবসের আগে ফিরবেন

২৩ নভেম্বর মানবজমিনে ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত’ শিরোনামে কিরণ শেখের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে উল্লেখ করা হয়, ‘একাধিক সূত্র অবশ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিজয় দিবস সামনে রেখেই তিনি দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে পারেন’।

একই দিন দৈনিক আমাদের সময়ে ‘বিজয় দিবসকে সামনে রেখে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে’ শিরোনামে লেখা হয়, ‘একাধিক সূত্র অবশ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিজয় দিবস সামনে রেখেই তিনি দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে পারেন’।

পরেরদিন ২৪ নভেম্বর দেশ রূপান্তরে ‘দেশে ফিরছেন তারেক রহমান!’ শিরোনামে দেশ ‍রূপান্তর অনলাইনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘তবে বিজয় দিবসের আগেই তিনি দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে’।

একই দিন ২৪ নভেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে ‘তফসিলের পরপরই ফিরতে পারেন তারেক রহমান’ শিরোনামে প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি জানান, এখন পর্যন্ত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। তফসিল ঘোষণার আগে বা ঘোষণার পরপরই তিনি দেশে ফিরতে পারেন। তবে এটি চূড়ান্ত নয়’।

২৬ নভেম্বর সময়ের আলোতে ‘ডিসেম্বরের শুরুতে ফেরার সম্ভাবনা তারেক রহমানের’ শিরোনামে রফিক রাফির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা হয়, ‘দলীয় এবং সরকারি একাধিক সূত্রের দাবি, ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে দেশে ফিরতে পারেন তিনি’।