Image description
 

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি কেএমপির ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। গত সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলায় তানিয়া তন্বির ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

এদিকে এই মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার হওয়া এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব তানিয়া তন্বি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অন্তঃসত্ত্বা বিষয়ে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁকে নগরীর টুটপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটির অধিক তদন্তের জন্য আজ বুধবার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বি অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সে কারণে তাঁকে প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।

কেএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বি এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি। চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগবাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বি এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে। ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে; আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জ্ঞিাসাবাদ করা হবে।’ তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তন্বির স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব কাজ করছে।

ডিবির ওসি বলেন, বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মামলার নথি ডিবি কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়নি। মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বি অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।