দু’দফায় ২৭২টি আসন ঘোষণা করলেও বাগেরহাট জেলার ৪টি আসন ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। জেলাটির দু’টি আসনে দলের দুই নেতাকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে দলটি। তারা হলেন, বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। দুই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রার্থীদের সেমিনারে। এ ছাড়া শনিবার দুপুরে এই দুই নেতা তাদের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার পোস্ট দেন। ফেসবুক পোস্টে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন লেখেন, বিএনপি থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সবার দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছি। ব্যারিস্টার জাকির হোসেন বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ‘সম্প্রীতি বাগেরহাট’-এর চারটি আসন রক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি বাগেরহাটের মানুষের পক্ষে একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে ফেসবুক পোস্টে ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম লেখেন, বিএনপি থেকে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, নীতি-নির্ধারণী নেতৃবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে দলের ভেতরের সব বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের প্রত্যাশা করছি। ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ছিলেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
এদিকে বাগেরহাট-১ ও বাগেরহাট-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট-১ আসনে বাবু কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে মনোনয়ন পেতে পারেন।