চট্টগ্রামের বাজারে সবজির দামে অবশেষে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। টানা কয়েক দিন বাড়তির পর শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের বাজারেও দেখা গেছে নিম্নমুখী প্রবণতা। তবে মাছ, মাংস ও ডিমের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে বাজারে স্বস্তি এখনো সীমিত।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি বাজার, চকবাজারসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে শীতকালীন অধিকাংশ সবজি এখন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও নতুন শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং কাঁকরোল, দেশি পটল, গাজর, শসা ও ছোট করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কাজির দেউড়ি বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহিণী রওশন আরা বলেন, গত সপ্তাহে বাজারে এসে খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। আজ সবজির দাম কিছুটা কম, অন্তত সংসারের হিসাব মিলছে।
খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। ছোট পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, নতুন ফলনের বড় পেঁয়াজ ৯০ টাকা এবং পুরোনো বড় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ দোকানি আবদুল করিম বলেন, নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় সরবরাহ বেড়েছে। সে কারণেই দাম একটু কমেছে।
কাঁচামরিচের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমেছে। ধনেপাতা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং শীতকালীন শাক আঁটিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারে সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া জানান, শীতের সবজি এখন নিয়মিত আসছে। সামনে আরও কয়েক দিন গেলে দাম আরও স্থির হবে।
তবে সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও মাছ, মাংস ও ডিমের বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজারেও কোনো পরিবর্তন নেই। লাল ডিম প্রতি ডজন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানি নাছির উদ্দিন বলেন, তেল, ডাল ও চিনির দাম আপাতত স্থির আছে। বড় কোনো পরিবর্তনের খবর নেই।
চালের বাজারেও বড় ধরনের ওঠানামা নেই। মোটা চাল (ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা) ৬৪-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭২ থেকে ৮৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।