ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সাল ও আলমগীর সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে কি-না জানতে ফিলিপ স্নাল নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে প্রশাসন। তবে তিনি পলাতক থাকলেও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- হালুয়াঘাট উপজেলার ভুটিয়াপাড়া এলাকার ক্লেমেন রিছিলের ছেলে সঞ্জয় চিসিম (২৫) ও একই উপজেলার বিড়ইডাকুনী এলাকার চার্লস রিছিলের ছেলে সিবিরণ দিও (৩৫)।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভুটিয়াপাড়া এলাকা থেকে ওই দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, সঞ্জয় চিসিম ও সিবিরণ দিও সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ পথে লোক পারাপার চক্রের সদস্য। তারা হাদির ওপর হামলাকারী ব্যক্তিকে হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে পার করতে পারে, এমন সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর থেকে প্রাইভেট কারযোগে গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহে আসেন। এরপর সেই প্রাইভেটকার থেকে নেমে তারা অন্য আরেকটি প্রাইভেট কারে হালুয়াঘাট উপজেলার ধারাবাজার সংলগ্ন মুন ফিলিং স্টেশন পাম্পের পাশে নিয়ে যায়। গত শুক্রবার রাতে প্রাইভেটকার থামিয়ে ফিলিপ স্নাল নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে ভুটিপড়া সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায় দুই ব্যক্তিকে। তবে ফিলিং স্টেশন পাশে নির্জন এলাকা হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ধারণা করা হচ্ছে, সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে স্টেশনের পাশে নামিয়ে মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে যায়। পরদিন শনিবার থেকেই ফিলিপকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি ও পুলিশ। তবে নিরুদ্দেশ ফিলিপ।
কিন্তু মোটরসাইকেল চালক কে ছিলেন, তা এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে আলমগীর ও ফয়সাল ভারতে গিয়েছে নাকি দেশেই রয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
জানা গেছে, ভারত সীমান্ত লাগুয়া গাজীর ভিটা ইউনিয়নের বুটিয়াপাড়া দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় ফিলিপের বাড়িতে। বাড়ি থেকেই দেখা যায় ভারতের সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের যে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে, এই কাঁটাতারের বেড়ার নিচে কালভার্ট রয়েছে এবং এখানে বড়ো বড়ো সুড়ঙ্গ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গ পথেই পাচার করা হয়েছে ঢাকায় হাদির ওপর হামলাকারী আলমগীর এবং ফয়সালকে।
স্থানীয়রা জানায়, ফিলিপের মাধ্যমে দুইজনকে ভারতে পাচারের কথা এখন সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। গত বুধবার ফিলিপ এলাকায় দেখা গেলেও পর আর তাকে এলাকায় দেখা যায়নি। তার বাড়ি থেকে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ২০০ গজের মধ্যে। তিনি ভারতে আসা যাওয়া করত। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারি শ্বশুর বাড়ি ও হালুয়াঘাটের ভুটিপাড়া বাবার বাড়ি দুই জায়গাতেই থাকতেন তিনি।