হত্যা-নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও নানা সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে, জড়াচ্ছে নানা অপরাধে। আর এতে করে দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ভাসানচর থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন হলেও তারা দালাল চক্রের সহায়তা নিচ্ছে। দালালরা জনপ্রতি ৩-৪ হাজার টাকা নিয়ে কাঠের নৌকায় চট্টগ্রাম কিংবা নোয়াখালী পৌঁছে দেয় রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গাদের এমন পলায়ন বন্ধ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে দেশ অদূর ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে ধারণা করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করে সমস্যার সমাধান হবে না। সেখানে কাজ নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, নেই কোনো সুচিকিৎসার ব্যবস্থা। ফলে রোহিঙ্গারা সেখান থেকে পালাতে চাইবে, এটা স্বাভাবিক। আমরা শুরু থেকে বলেছি, যেন তাদের ভাসানচরে না পাঠানো হয়। রোহিঙ্গাদের দেশের অভ্যন্তরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর কোনো সমস্যার সমাধান নয়। বরং সমস্যা আরও ছড়িয়ে পড়ছে। এটি দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো ছাড়া বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় কোনো পথ নেই বলে মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় কোনো অপশন (পথ) নেই।’
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত জীবন দিতে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ২৫টি ধাপে ৩৬ হাজার ৮৯৮ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। ভাসানচরে নতুন করে জন্ম নিয়েছে আরও ৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা শিশু। প্রথমদিকে তাদের উন্নত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলেও ধীরে ধীরে সেসব সীমিত হয়ে আসে। কর্মসংস্থানেরও খুব বেশি সুযোগ নেই। এতে করে তাদের জীবন-যাপন দিনদিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি তাদের পালানোর হার অতীতের চেয়ে বেড়েছে। গত নভেম্বরে সর্বোচ্চ ৩৮৯ জন পালিয়েছে। তবে তারা কোথায় গেছে, তা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাসানচরে সর্বমোট ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে আরও হাজার তিনেক রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নেয়। ফলে তাদের সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪০ হাজার। কিন্তু প্রতিনিয়ত পালাতে থাকায় সংখ্যা কমে বর্তমানে সেখানে (নভেম্বর পর্যন্ত) ২৯ হাজার ৮৪২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ভাসানচর থেকে পালিয়ে অনেকেই কক্সবাজারের আশ্রয় ক্যাম্পে ফেরত গেছে। কেউ কেউ কাজ খুঁজতে দেশের অন্যান্য জেলায় চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামে পাড়ি জমাচ্ছে তারা। বিশেষ করে বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে সহজে পালাতে পারছে। এ পলায়ন দেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বরে ৩৮৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।
পালানোর কারণ: কর্মসংস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার অভাবসহ ৯ কারণে ভাসানচরে থাকতে চায় না রোহিঙ্গারা। এজন্য তারা সময়-সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে উন্নত জীবনের আশায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আয়ের স্বল্প উৎস, রোহিঙ্গা রিলোকেশন (স্থানান্তর) স্থগিত হওয়া, ক্যাম্পের বাইরে অবাধে বিচরণের সুযোগ না থাকা, কক্সবাজারে এফসিএন কার্ড নবায়নের সুযোগ, একাধিক স্ত্রী থাকা, কাজের উদ্দেশ্য, শিক্ষা সংকট, সুচিকিৎসার অভাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তুলনায় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আয়ের উৎস খুবই কম। ক্যাম্পের কাজে নিয়োজিত সব এনজিওর পক্ষে কর্মক্ষম সব রোহিঙ্গার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোর রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরের লোকালয়ে দিনমজুরের কাজ করে আয় করতে পারছে। এজন্য ভাসানচরের চেয়ে কক্সবাজারই বসবাসের জন্য বেশি পছন্দ তাদের কাছে।
রোহিঙ্গা রিলোকেশন স্থগিত হওয়াকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারি নীতিসহ বিভিন্ন কারণে রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রম প্রায় স্থগিত থাকায় উন্নত জীবনের জন্য ভাসানচরে স্থানান্তর হওয়া রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে অবস্থানরত তাদের জনগোষ্ঠী থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন অনুভব করছে এবং ভাসানচরের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত। ফলে তাদের মাঝে পলায়ন তৎপরতা বহুগুণে বেড়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ভাসানচর এলাকাটি বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘেরা। ফলে ক্যাম্পের বাইরে অবাধে বিচরণে সুযোগ নেই। অবাধে চলাফেরার সুযোগ না পেয়ে হতাশ রোহিঙ্গারা পলায়নপ্রবণ হয়ে উঠছে। অন্যদিকে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোয় বসবাসরত রোহিঙ্গারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি ফাঁকি দিয়ে পুরো বাংলাদেশে বিচরণ করছে, যা সম্পর্কে ভাসানচরের রোহিঙ্গারা খুব ভালোভাবে অবগত। ফলে তারাও সেখানে চলে যেতে চায়।
কক্সবাজারে এফসিএন কার্ড (রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ব্যবহৃত একটি নম্বরকে বোঝানো হয়, যা তাদের পরিচয়পত্র এবং যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়) নবায়নের সুযোগ পায় রোহিঙ্গারা। ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রাথমিক পর্যায়ে কক্সবাজারে পালিয়ে গেলে তাদের এফসিএন কার্ড নবায়ন করা হতো না। ফলে সুবিধা হারানোর ভয়ে তারা ফের ভাসানচরে ফিরে আসত। কিন্তু বর্তমানে পলায়নকারী রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে গিয়ে নতুন করে এফসিএন কার্ড নবায়নের সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগের কারণেই তাদের মধ্যে পলায়নের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
গোয়েন্দারা জানান, রোহিঙ্গা পুরুষদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। অনেকের এক স্ত্রী কক্সবাজার, আরেকজন থাকেন ভাসানচর। ফলে পলায়নকৃত রোহিঙ্গা উভয় স্থানেই আশ্রয় পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে পলায়নকৃত রোহিঙ্গা পরিবারের বাকি সদস্যরা ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
ভাসানচরে কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে বেশি উপার্জনের আশায় ভাসানচরের রোহিঙ্গা পুরুষরা কাজের খোঁজে কক্সবাজার কিংবা অন্য জেলায় চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ৪-৫ মাস বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করে অর্থ উপার্জন শেষে পুনরায় ভাসানচর ফেরত যান। আবার কিছু ক্ষেত্রে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতেও দেখা যায়। তখন পরিবারটি আর টিকতে না পেরে পলায়নের সিদ্ধান্ত নেয়।
ভাসানচর প্রকল্পের শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল, দক্ষ চিকিৎসক, উন্নত প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সি- অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি সেবার ব্যবস্থা ছিল। জরুরি রোগীদের নোয়াখালীতে স্থানান্তরের ব্যবস্থাও কার্যকর ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব এবং নোয়াখালীতে চিকিৎসা গ্রহণের সময় বিভিন্ন হয়রানির কারণে রোহিঙ্গারা উন্নত চিকিৎসার আশায় কক্সবাজারে পালিয়ে যেতে শুরু করে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য মাদ্রাসার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল, যা বর্তমানে বন্ধ থাকায় পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
বর্তমানে নৌবাহিনীর ৬৩ জন সদস্য ভাসানচরে সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে এপিবিএনের ১৪৯ জন, কোস্টগার্ডের ২৪, পুলিশের ২৩ জন ও আনসার ব্যাটালিয়নের ৫৭ জনসহ ২৫৩ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তবে দায়িত্ব পালনে তাদের অবহেলা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যাম্প ইনচার্জ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম নিয়মমাফিক পরিচালনা করলেও এনজিওসহ অন্য বিষয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে তারা রোহিঙ্গাদের পলায়নের বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পারছে না। ফলে রোহিঙ্গা পলায়ন বিষয়ে কার্যকরী ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
পালানোর মাধ্যম : ভাসানচর থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন হলেও তারা দালালচক্রের সহায়তা নিচ্ছেন। দালালরা জনপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে কাঠের নৌকায় চট্টগ্রামে কিংবা নোয়াখালী পৌঁছে দেয় রোহিঙ্গাদের।
রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রাতের অন্ধকারে ভাসানচরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ‘প্যারাবন’- এ গোপনে জড়ো হয়। জোয়ার-ভাটার সময় অনুযায়ী প্যারাবন সংলগ্ন উপকূলে নৌকা এলে সুযোগ বুঝে কাদামাটি পেরিয়ে তারা নৌকায় ওঠে। কেউ কেউ দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে জাইজ্জারচর বা স্বর্ণদ্বীপে পৌঁছে। সেখান থেকে শুষ্ক মৌসুমে খুব অল্প সময়ে নৌকায় নোয়াখালীতে চলে যায়। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ধরা পড়ার ঝুঁকি কমাতে তারা পর্যায়ক্রমে ভাসানচর ত্যাগ করেন। দালালরা সাধারণত তাদের চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল আনোয়ারা, পতেঙ্গা, পটিয়া, মিরসরাই বা নোয়াখালীর তীরবর্তী স্থানে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রোহিঙ্গারা বাসে উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে বা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। তবে যারা পরিবার নিয়ে পালাতে পারে না, তারা কয়েক মাস পর আবার ভাসানচরে ফিরে আসে।
পলায়ন রোধে পাঁচ সুপারিশ : দেশ ও দেশের মানুষের জন্য দিনদিন হুমকি হয়ে উঠা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে ধরে রাখতে পাঁচটি সুপারিশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জীবিকা নির্বাহ কার্যক্রমকে ক্ষুদ্রাকারে পুনরুজ্জীবিত করা, স্বল্প ও ক্ষুদ্রাকারে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, স্বাস্থ্যখাতে সরকারি চিকিৎসকদের ভাসানচরে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা, ঔষধ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শিশু শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
কোস্টগার্ড এবং এপিবিএনের লজিস্টিক ও প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিজ নিজ সংস্থা কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশও এসেছে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গা পলায়নের স্থানগুলোয় এপিবিএন ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল বা অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে পলায়ন কমানো কিংবা বন্ধ করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে ওই গোয়েন্দা সংস্থা।
বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআরের হিসাবে মিয়ানমারের আরাকান থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা বাংলাদেশ সরকারের। কারণ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম নিচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যর্পণের কাজটি আবারও থমকে গেছে। চীনের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক খবুই উচ্চপর্যায়ের। এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যর্পণের কাজটি সহজ করতে পারে বর্তমান সরকার।