বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে বিএসএফ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ বেন করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে করে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদী আচরণেন তীব্র নিন্দা জানান এবং ভারতী সরকারকে সীমান্ত নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষার্ধীরা। এসময় তাঁরা সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, সীমান্তে মানুষ হত্যা ভারতীয় আধিপত্যবাদ নীতি ও আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয় না। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে দেখেছি ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে মানুষ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতো। আমরা তখন সেই আগ্রাসনের প্রতিবাদও করতে পারতাম না। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের উচিত সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, আমারা দেখেছি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কিভাবে আমাদের দেশের মানুষদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। ফেলানী থেকে শুরু স্বর্ণা দাসকে কিভাবে নৃশংস তাঁরা হত্যা করেছে। আশা করেছিলাম জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরে ভারতীয় করদরাজ্য থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে তাঁর ন্যায় অধিকার পাবে। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বর্ণা দাস থেকে শুরু করে গত রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে নৃশংস সীমান্ত হত্যা সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীর কোনো নৃশংস অপরাধীর সাথেও কোনো দেশের সরকারি বাহিনী এমন আচরণ করতে পারে না।