দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন। তাও আবার ছোট কোনো নির্বাচন নয়, সরাসরি জাতীয় নির্বাচন। যদিও এবারের নির্বাচন অন্য কোনো সাধারণ নির্বাচনের মতো নয়। কারণ একই দিনে গণভোট, পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ, সামাজিকমাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলা ও নির্বাচনকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রসহ বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে আগামী নির্বাচনে। তাই অতীতে কোনো নির্বাচন আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত ইসি? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।
তবে ইসি বলছে, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখছে নির্বাচন কমিশন। সারা দেশে বইছে নির্বাচনি হাওয়া। রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে সংসদীয় আসনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেছে। অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই চলছে জোর প্রচার কার্যক্রম। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে হতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। অন্যদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রস্তুতিও শেষ দিকে। তবে ভোট নিয়ে বড় চার চ্যালেঞ্জে রয়েছে ইসি। এগুলো সামাল দিতে সংস্থাটি কতটা সামর্থ্যবান তা নিয়ে নানা মতামত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট : জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তাই একই দিনে দুই ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি। এরই অংশ হিসেবে আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুুপুর ১২টা পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং করবে ইসি। এই মক ভোটিংয়ের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে, কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, সমন্বয় প্রয়োজন কি না এবং ভোটকক্ষ বা জনবল বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়ার অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। দায়িত্বের আভাস পাওয়ার পর থেকেই আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। কাগজে-কলমে ও মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতিও আগেই শুরু করা হয়েছে। আপনারা বরং খুশি হবেন যে, আমরা অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখছি। তবে একই দিনে বড় দুই ভোট আয়োজনে কতটা সক্ষম ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সময়ের আলোকে বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে চ্যালেঞ্জ তো কিছুটা রয়েছেই। প্রাকটিক্যাললি আমাদের বুথ সংখ্যা বাড়াতে হবে। ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে। তারপর প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের সংখ্যা এসেস করতে হবে। সংসদ নির্বাচনে একজন ভোটারের কয় মিনিট সময় লাগে। গণভোটের ক্ষেত্রে ব্যালট পড়তে ভোটারের কেমন সময় লাগবে। এগুলো এসেস করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ছাড়া বাজেটের বিষয় আছে। কাগজেরও তো বিশাল ক্রাইসিস। ব্যালট বক্সও বেশি দেওয়া লাগতে পারে। তিনি বলেন, এ জন্য আগামী শনিবার আমরা একটা ‘মক’ ভোটিংয়ের আয়োজন করেছি।পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোট : আগামী নির্বাচনে ৫০ লাখ প্রবাসীকে ভোটে আনার টার্গেট নিয়েছে ইসি। প্রবাসীদের ভোটে আনতে গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেছে সংস্থাটি।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫১ হাজার ৭২২ জন প্রবাসী। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে এ নিবন্ধন কার্যক্রম। এ ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসরত (ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি চাকরিজীবী, কয়েদি) ভোটাররা ১৯ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রবাসীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের ব্যালট পেপার আগামী সপ্তাহ থেকে পাঠানো শুরু করবে ইসি। গতকাল নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ইসির আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভিএসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সালীম আহমাদ খান।
তবে প্রবাসীদের ভোটে আনা নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জে রয়েছে কমিশন। পোস্টাল ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের নিবন্ধন কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের জটিলতা। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের পক্ষ থেকে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না দেওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দেশে সাময়িকভাবে এই নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে ইসি। তবে সৌদি আরবসহ সাত দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন সচল করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান বলেন, ‘আমরা কাজ করছি কালকে (শুক্রবার) সকালের মধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য। যাতে শুক্রবারে ছুটির দিন, প্রবাসী ভোটাররা যেন কাজে লাগাতে পারেন, ইনশাআল্লাহ।’
গত বুধবার মধ্যরাত থেকে বিশ্বের সব দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নিবন্ধন অ্যাপ একসঙ্গে উন্মুক্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেওয়া ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার কোনো ভোটারের কাছেই পাঠানো সম্ভব হবে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই এই সাতটি দেশে নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ : দেশের বর্তমান আনইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে দেশের মানুষ। আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলো আগামী নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। তাই ভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৮ হাজার ৭৪৬টি ভোটকেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে যে সংখ্যাটা ২ হাজার ৬৭৫টি।
আর সিলেট বিভাগে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সবচেয়ে কম। সেখানে এমন কেন্দ্র রয়েছে ৪৫৭টি। কোনো নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা, থানা থেকে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব, কোন এলাকায় কোন রাজনৈতিক দলের আধিপত্য রয়েছে, দুর্গম এলাকা, পাহাড়ি এলাকা ও চরাঞ্চল এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোকে লাল (অতি ঝুঁকিপূর্ণ), হলুদ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও সবুজ (সাধারণ) তিন ভাগে ভাগ করেছে পুলিশ সদর দফতর।
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ১৬ হাজার ৩৫৯টি। ঝুঁকি নেই এমন ভোটকেন্দ্র (সাধারণ) ১৭ হাজার ৬৫৬টি। তবে ইসি বলছে ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। এরই মধ্যে দুই ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে ইসি।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ভোটের মাঠে তিন স্তরে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ। ইসি সচিব বলেন, এখন থেকে প্রয়োজনে বিচ্ছিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে বসা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বে থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যান্য বারের মতো তারাই নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা (কীভাবে কাজ করবেন, কী করবেন না) প্রদান করবে। সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য একটি পর্যবেক্ষণ সেল গঠন করা হবে।
সামাজিকমাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলা : নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিকমাধ্যমে অপতথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে খোদ নির্বাচন কমিশন। তাই সামাজিকমাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আরপিওতে সংশোধনী আনছে কমিশন। খুলেছেন ইসির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ। তবে এতেও যেন শঙ্কা কাটছে না। যেকোনো মুহূর্তে অপতথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই নির্বাচনের সময়ে অপতথ্য রোধে বুধবার বিকালে টিকটকের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
বৈঠক শেষে টিকটকের সাউথ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশন্স হেড ফেরদৌস মুত্তাকিম বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা, যে টিকটক প্ল্যাটফর্ম যেন কোনোভাবেই নির্বাচন-সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য, মিসইনফরমেশন বা ম্যানিপুলেশনের জন্য ব্যবহার না হয়। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান, প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের একটি বহুজাতিক বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বিবেচনায় টিকটকে নির্বাচন, সংশ্লিষ্ট ইন্টিগ্রিটি কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে তা তুলে ধরেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি যে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনোরকম ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, অপতথ্য মোকাবিলায় ইউএনডিপির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রণালয়, সিআইডি এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই সক্ষম সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। যোগাযোগ কৌশলে দ্বিমুখী প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে। অর্থাৎ তৃণমূল থেকেও তথ্য ওপরে যাবে এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে। শুধু নির্দেশনা ওপর থেকে নিচে নয়।
ভোটের মাঠে থাকবে তিন স্তরে নিরাপত্তা, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ থাকবে সেনাবাহিনী : ভোটের মাঠে তিন স্তরের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসহ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন পরিকল্পনাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে- স্থায়ী মোতায়েন, কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মী এবং বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বা অস্থায়ী চেকপোস্ট (মোবাইল চেকপোস্টসহ)। মোবাইল ইউনিটগুলো ঘুরে ঘুরে নজরদারি করবে। একটি ইউনিট কতটি কেন্দ্র দেখবে, তা সংশ্লিষ্ট বাহিনী ভৌগোলিক অবস্থান, সড়ক সংযোগ ইত্যাদি বিবেচনায় নির্ধারণ করবে। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স প্রধান রিজার্ভ শক্তি হিসেবে প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স দ্রুত চলাচল ও প্রতিরোধমূলক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রস্তুত থাকবে। এনটিএমসি এবং পূজার সময় ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থাও কাজে লাগানো হবে।
ইসি সচিব বলেন, সবসময় একটি বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে একই সঙ্গে দুই-তিনটি স্থানে সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সীমিত নেটওয়ার্কের স্থানে ইন্টারনেট সুবিধা সেবাদাতাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। হারানো বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সন্ত্রাসীদের নজরদারি করে প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনতে হবে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি, বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং তারা তা প্রয়োগ করবে। বিদেশ থেকে আসা পোস্টাল ভোটের জন্য এয়ারপোর্ট ও তেজগাঁও ডাক বাছাই কেন্দ্রে দ্বিগুণ নিরাপত্তা দিতে হবে। বাছাই থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছানো, সংরক্ষণ ও গণনা সব পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইসি সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে যেন কোনো আপ্যায়ন গ্রহণ না করেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে যানবাহনের সংকট মোকাবিলায় দফতরের যানবাহন অধিগ্রহণ বা ভাড়ায় সংগ্রহের বিষয়ে বাহিনী বাস্তবসম্মত সমাধান দেবে।