পাবনার ঈশ্বরদীর আজকের ঘটনায় দলীয় সমর্থকরা নিজেদের মত লিখেছে পরস্পরকে দায়ী করে। স্থানীয় সাংবাদিক ও ঢাকার সংবাদমাধ্যমে ঘেঁটে পেলাম, বুধবার ইকবাল নামের এক ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতিকে মারধর করে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মক্কেল মৃধার লোকজন। মারধর করা হয় তর্কাতর্কি থেকে।
এ থেকেই সূত্রপাত।
মারধরের এর প্রতিবাদে আজ পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের আবু তালেব মন্ডলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নির্বাচনী প্রচার চালানো হয়। প্রচার বহর স্থানীয় আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে বাধা দেন বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সমর্থকেরা। (হাবিবুর রহমানকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কুপিয়ে ছিল আওয়ামী লীগ। এবার তিনিই ভাষণে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন কত কয়েক মাস ধরে। এটা একটা উদাহরণ হাসিনা আমলে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের। মানে আগেবার মজলুম, এবার জালিম হতে চাইছে। হাসিনা দেখানো পথে নির্বাচন করতে চান। বিএনপি জামায়াত বা অন্যদল নয়, এই মানসিক অধপতনই মূল সমস্যা এবারের নির্বাচনে)।ঘটনায় ফিরি। আলহাজ্ব মোড়ে কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির পর জামায়াতের প্রার্থী চলে যান। তিনি ফেরার পথে মৃধাপাড়া মহল্লায় বহরে হামলা হয়। তার গাড়ি এবং ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এর দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়ায়। দুই পক্ষেই আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকটি গুলির ঘটনা ঘটে।
ভিডিও এসেছে সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তি পিস্তল দিয়ে গুলি করছে। কোনো পক্ষই গুলিবর্ষণকারীকে নিজের বলে স্বীকার করছে না। এবারের কাজটুকু ইউনূস সরকারের। যদি তাদের আসলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে অস্ত্রধারীকে ধরতে হবে। নাম পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। জেলে দিয়ে দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে।
সরকার যদি এটুকু করতে না পারে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের আলাপ অর্থহীন। আজকের ঘটনায় কঠোর বার্তা দিতে না পারলে, আগামী দিনের অস্ত্রবাজী ভয়াবহ হবে। ভোটের আগেই নির্বাচন কলংকিত হয়ে, কর্ম সারা হয়ে যাবে। এই কালিমা কিন্তু আপনাকেই বহন করতে ইউনূস সাহেব।
- রাজিব আহমদ