আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোেট অনুষ্ঠানে তিনটি তারিখ বিবেচনায় নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ৮ ফেব্রুয়ারিকে প্রাধান্য দিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এর বাইরে ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারিকেও ইসি তাদের চিন্তায় রেখেছে। অবশ্য কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি রোববারই হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। অন্য কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে ওই দিনই ভোট হবে। এছাড়া বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি থাকলেও এবার পরদিনও ছুটি রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
কমিশন সূত্র জানায়, পোস্টাল ভোটসহ বেশকিছু বিষয় বিবেচনায় রেখে এবার তফসিল ঘোষণা ও ভোটগ্রহণের মধ্যে বেশি সময় হাতে রাখতে চাইছে কমিশন। অন্যান্য সময় তফসিল থেকে ভোটগ্রহণে সর্বোচ্চ দেড় মাসের মতো ব্যবধান থাকলেও এবার প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ৭ অথবা ৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক অনুষ্ঠানে বলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একই দিনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদকে উদ্ধৃত করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিধান অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে গণভোটের আইন না থাকায় ইসির প্রস্তুতিতে কিছুটা বাধা তৈরি হয়। গত মঙ্গলবার কেটেছে সে বাধা। ওই দিন 'গণভোট অধ্যাদেশ, ২০২৫' উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর ওই রাতেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ওই
