Image description

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সিভিল ও মেকানিক্যাল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী চসিক সিভিল বিভাগের অঞ্চল-৩ নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তার বিরুদ্ধে উঠেছে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।

শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নানান দুর্নীতি-অনিয়মের মধ্য দিয়ে আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছেন চসিকের প্রকৌশল বিভাগকে। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির বটবৃক্ষ ছিলেন চসিকের সাবেক প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, এ দম্পতি সিভিল বিভাগের উন্নয়ন কাজের ফাইল আটকে রাখেন দীর্ঘ সময়। পরে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে ছাড় করেন। দুর্নীতির টাকায় তারা গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। নগরীর প্রাণকেন্দ্র পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর রোডের ২৪ নম্বর বাড়িতে প্রকৌশলী দম্পতির রয়েছে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, যার বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা। তারা চলাচল করেন কোটি টাকা দামের অভিজাত গাড়িতে। দুই ছেলে আরহাব ও আরহাম লেখাপড়া করেন চট্টগ্রাম নগরীর ধনী সন্তানদের স্কুল হিসেবে খ্যাত সিজিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। তাদের টিউশন ফি ও অন্যান্য খাতে মাসে ব্যয় হয় মোটা অঙ্কের টাকা। শাহীন তার শ্যালকের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করেছেন বাড়ি ও গাড়ি। শাহীন তার গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায় দুর্নীতির টাকায় কিনেছেন প্রচুর কৃষি ও অকৃষি জমি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তার বেনামি ফ্ল্যাট ও প্লট।

এ বিষয়ে বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মোবাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সিভিল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী এবং নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তার অনিয়ম-দুর্নীতির কিছু তথ্য আমি পেয়েছি। বিদেশ থেকে ফিরেই তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত শুরুর অফিসিয়াল নির্দেশ দেব। চসিকে দুর্নীতি করে কারও রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জিরো ট্রলারেন্স।’

চসিক সিভিল বিভাগের অঞ্চল-৩ নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির কোনো অভিযোগ থাকলে আমার সিনিয়দের জানান। তারাই বক্তব্য প্রদান করবেন। প্রমাণ না দেখা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করব না।’ চসিক সিভিল ও মেকানিক্যাল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার কল ও এসএমএস দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।