Image description

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের জয়, বিএনপিপন্থি প্রার্থীদের ভরাডুবির ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ বিএনপির কেন্দ্র। নোটিশ করা হয়েছে সিলেট বিএনপির ৪ শীর্ষ নেতাকে। এতে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।    

কেন্দ্রের নোটিশ করা ৪ নেতা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা নোটিশে এ কথা জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ওই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য জেলা বা মহানগর বিএনপি যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদাসীন ও নির্বিকার ভূমিকার জন্য নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের বিপর্যয় ঘটে। 

দায়িত্বহীনতার কারণে সিলেট বিএনপির চার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সেই বিষয়ে একটি লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ জবাব জমা দিতে হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, নির্দেশনা মেনে যথাসময়ে নোটিশের জবাব দেবেন তিনি। 

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী বুধবার বলেন, কেন্দ্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জবাব তৈরি করেছি। এখনই ই-মেইল হোয়াটসআপ ও ক্যুরিয়ারে পাঠাব। 

এর আগে গত রোববার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ফোরামের সিলেটের কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তাদের। 

গত ১৬ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৬টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১২টিতে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা জয়ী হন। বিএনপিপন্থি ছয়জন ও জামায়াতপন্থি পাঁচজন জয়ী হন নির্বাচনে। 

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন না। এ নিয়ে দলের ভেতর-বাইরে আলোচনা সমালোচনা চলছে। 

গুঞ্জন রয়েছে, অনেকেই দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে আওয়ামী লীগপন্থি প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেন। তাদের জেতাতে বিএনপি ঘরানার ভোটাররাও সক্রিয় ছিলেন।