প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে গণভোট (রেফারেন্ডাম) অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমানে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই। গণভোট আয়োজনের আগে অবশ্যই একটি আইন তৈরি করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। এদিন সংলাপে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর পক্ষ থেকে গণভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিইসি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
সিইসি বলেন, আমাদের রেফারেন্ডামের (গণভোট) কথা আসছে। কীভাবে গণভোট করব না করব, তা নিয়ে তো আমাকে আগে আইনটা করতে হবে।
তিনি অতীতে অনুষ্ঠিত গণভোটের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মার্শাল প্রিপারেশনের অধীনে গণভোট করেছিলেন এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি আইন করে তা করেছিলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, গণভোট কীভাবে হবে, এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন। অনেকে এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। আইনটা হওয়ার পর এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।
সিইসি ১৯৯১ সালের গণভোটের আইনের কথা মনে করিয়ে দেন এবং জোর দিয়ে বলেন, গণভোটের জন্য আইনটা আগে হতে হবে। আইন তৈরি হলে সেই আলোকেই নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে ও কাজ করতে পারবে।
এর আগে, এই বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিন হওয়ার কথা। অথচ ইসি গণভোট নিয়ে এখনো প্রস্তুত না। গণভোট করার কোনো প্রস্তুতি ইসির দেখছি না। কীভাবে গণভোট হবে, এটা দেখছি না। তাই ইসিকে দ্রুত গণভোটের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।