Image description

বগুড়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ সংগ্রহ কার্যক্রমে বড় ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ৭৫ কেজি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বস্তা সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জানা যায়, বিএডিসির কর্মকর্তার হেফাজতে থাকা সাত হাজার ৭০৭ খালি বস্তা লুট হলে এ সমস্যার উদ্ভব হয়।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি মালামাল হিসেবে গুদামে থাকা বিপুলসংখ্যক বীজের বস্তা লুট ও আত্মসাৎ হয়েছে। এ ঘটনায় উপসহকারী পরিচালক এসএম শাহীনুল হক শাহীনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং তাকে ৩০ দিনের মধ্যে সাত হাজার ৭০৭টি খালি বস্তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ।

১৯ নভেম্বর বিএডিসির উপ-পরিচালক (বীজ উৎপাদন) শামীনা পারভীনের স্বাক্ষরিত স্মারক অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ বদলিজনিত কারণে গুদাম শাখার দায়িত্বভার হস্তান্তরের সময় শাহীনুল হক মোট ১০ হাজার ৭৩৬টি বস্তা থাকার কথা থাকলেও মাত্র তিন হাজার ২৯টি বস্তা জমা দেন। বাকি সাত হাজার ৭০৭টি বস্তা আজও ফেরত দেওয়া হয়নি।

নোটিসে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ২০২৪-২৫ উৎপাদন বর্ষের বোরো ধানবীজ সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রয়োজনীয় বস্তা না থাকায় কেন্দ্রের বীজ সংগ্রহ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

অফিস নথিতে সংযুক্ত একটি অঙ্গীকারনামায় শাহীনুল হক স্বীকার করেন যে, তিনি ১০ হাজার ৭৩৬টি বস্তা ও একটি ছিটমিলার মেশিন পাওনা স্বীকার করেন এবং তা পরিশোধে বাধ্য থাকবেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি মালামাল হিসেবে গুদামে থাকা খালি বস্তাগুলো অনিয়ম ও লুটের মাধ্যমে গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অভিযুক্ত উপসহকারী পরিচালক এসএম শাহীনুল হক শাহীন জানান, আমি বস্তাগুলো জমা দিয়েছি তার চিঠি আমার কাছে আছে। একটি পক্ষ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। তবে বস্তা জমাদানের চিঠি তিনি দেখাতে পারেননি।

বগুড়া বিএডিসির উপপরিচালক (বীজ উৎপাদন) শামীনা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বস্তা লুটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, এখনো বস্তা জমা দেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ধান, গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন ও উন্নয়ন কেন্দ্র বগুড়ায় বিএডিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বীজ সংগ্রহ কেন্দ্র। যেখানে সরকারি মানের বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়।