কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত সকলেই নারী এবং একই পরিবারের সদস্য। তারা ঢাকার উত্তরা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হাঁসেরদীঘি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাদের কক্সবাজারমুখি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু এবং চালকসহ ৪ জন আহত হন।
চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ওসি মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, রুমি বেগম (৬৫), রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫), ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া পাটোয়ারী (২৩), চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মজুমদার (২৪)। আহতরা হলেন উদয় পাটোয়ারী, সামাদ পাটোয়ারী, শাহেদ মজুমদার লিশান ও মাইক্রোবাস চালক আমিনুল হক।
উদয় পাটোয়ারী (৪৩) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা। চাকরি করেন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে। তিনি ঢাকার উত্তরায় সপরিবারে থাকতেন। মঙ্গলবার তারা কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে রুমি বেগম মা, রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী শাশুড়ি, ফারজানা মজুমদার লিজা স্ত্রী, সাদিয়া পাটোয়ারী ছোট বোন এবং ফারজানা মজুমদার শ্যালিকা। আহতদের মধ্যে সামাদ পাটোয়ারী ছেলে এবং শাহেদ মজুমদার লিশান শ্যালক।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মেহেদী হাসান জানান, সকালে চট্টগ্রামমুখি একটি মারশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখি মাইক্রোবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ২টি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে সেখানে ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উদয়ের শ্বশুর আবদুল মন্নান মজুমদার জানান, জামাতার উদ্যোগে পরিবারের সদস্যরা আনন্দ ভ্রমণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি।