গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণার তিন দিন পর সভাপতিসহ ৫৯ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনটির জেলা সভাপতি আল আমিন সরদার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর ৭৯ সদস্যের গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে বিভাগীয় উপকমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি এবং সাবেক যুবলীগ নেতা ও মাঠে না থাকা ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই কমিটি গঠনের তিন দিনের মাথায় নেতারা পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। একসঙ্গে এত নেতার পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণঅধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলার নবঘোষিত কমিটি গঠনের পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি আল আমিন সরদার, সাংগঠনিক কে এম নাজমুল ইসলামসহ ৫৯ জন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
পদত্যাগকারী ব্যক্তিদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনোভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীকে বঞ্চিত করে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও পক্ষপাতের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমরা সব সময় দলের প্রতি অনুগত থেকেছি, কিন্তু যে কমিটিতে আস্থা ও ন্যায়বিচার নেই, সেখানে থেকে কোনও দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। তবে আমরা গণঅধিকার পরিষদের মূল আদর্শ, নীতি ও গণমানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।”
এ বিষয়ে আল আমিন সরদার বলেন, “নবগঠিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে রাখা হয়েছে, তিনি কখনোই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না এবং এখনও নেই। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের এক সদস্যকে কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি পদে রাখা হয়েছে। এতে কমিটিতে থাকা নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে আমিসহ ৫৯ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি। মূলত এখানে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করেছে বিভাগীয় উপকমিটি। গতকাল রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির ই-মেইলে সবাই পৃথকভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।”