ছয় ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার লুট করতে শরীয়তপুর পৌর শহরে বাসিন্দা নাজমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে মাদারীপুরের র্যাব।
ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেনের।
গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলাম রিপন মোল্লা (৫০) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সোনাই মোল্লার ছেলে।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মীর মনির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর পৌরসভার রুপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নাজমা বেগম (৪৫) খুন হন। ঘটনার পরদিন নাজমার ভাই দ্বীন ইসলাম পালং থানায় হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিপন মোল্লাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে কোম্পানি কমান্ডার মনির হোসেন বলেন, “নাজমা বেগমের কাছে থাকা ছয় ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকার লোভে তাকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় রিপনের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করা হয়।”
গ্রেপ্তার রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শরীয়তপুরের পালং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
নিহত নাজমা বেগম (৪৫) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাজী কান্দি গ্রামের সেকেন্দার কাজীর মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে নিরব কাজীকে (১২) নিয়ে রুপনগর এলাকার চারতলা বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।