জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, যেসব দলের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ, সেগুলোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের করণীয় কিছু নেই। পাশাপাশি নির্বাচনে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিলে ইসি তাতে সমর্থন জানাবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
শনিবার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এসব কথা বলেন।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোই শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, পলিটিক্যাল পার্টি রেজিস্টার যে পার্টি হোক, যারা রেজিস্টার, তারাই শুধু ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যেসব দলের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ, সেগুলোতে ইসির কিছু করণীয় নেই। সেইসাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা নিয়ে সরকার বা কোনো সংস্থা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে ইসি তাতে সমর্থন জানাবে বলে ইঙ্গিত দেন জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার।
আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো অপব্যবহার বা গুজব ছড়ানো হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ডিজিটাল মাধ্যমের অপব্যবহার প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বা ডিজিটাল মাধ্যম নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে যদি অপব্যবহার হয়, তা আমরা আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) একটি নতুন সেকশন, ৭৩-এর ‘এ’ ঢুকিয়ে দিয়েছি। সেখানে বলছি, এরকম হলে সেটা অপরাধ প্র্যাকটিস হিসেবে হবে এবং তার জন্য ওই আইনে বর্ণিত সম্ভবত সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘এটা আমরা তো একটা জেনারেল ল করে স্পেশালি এখানে আইন করেছি। জেনারেল ‘ল’ সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আছে, তার আন্ডারেও কেস হতে পারে। ’
গুজব মোকাবিলার প্রসঙ্গে তিনি এটিকে শুধু জাতীয় সমস্যা নয়, বরং ‘গ্লোবাল প্রবলেম’ হিসেবে উল্লেখ করেন। গুজব মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া প্রস্তাবগুলোকে ইতিবাচকভাবেদেখছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাকে প্রিভেনশন করার জন্য, এটাকে দমানোর জন্য বা ডিটেকশনের জন্য কে করলো, কারা করলো সেটা আমাদের বিষয় নয়। মূলত এটার জন্য সরকার যত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, নির্বাচন কমিশনের জন্য ততই ভালো হবে।’