বিছানার পাশাপাশি চেয়ার, টেবিল ও ফ্যান পাচ্ছেন জেলখানায় থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা। রয়েছে পত্রিকা পড়া ও চা পানের ব্যবস্থা। মোটাদাগে এসব সুবিধা নিয়েই শুরু হচ্ছে তাদের জেলজীবন।
গুম, নির্যাতন এবং রামপুরার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি চালানোর অপরাধে করা মামলার অভিযোগে এসব কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যেই কারাগার থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেল সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের তিন বেলা খাবারের মধ্যে সকালে রুটি ও সবজি থাকছে। বাকি দু’ বেলায় থাকছে ভাতের সাথে মাছ/মাংস ও সবজি। পৃথক রুম পাচ্ছেন প্রত্যেকেই।
গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪ কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’
কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তরের। সাব-জেলের নিরাপত্তায় ৩৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের খাওয়া-দাওয়া কারাগার থেকেই দেওয়া হবে। বাইরে থেকে খাবার দেওয়া বা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎও কারাবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। সাব-জেলটি তৃতীয় তলায় অবস্থিত, ১৬টি কক্ষে প্রতি কক্ষে একজন করে থাকার ব্যবস্থা আছে।
কারা সূত্রে জানা যায়, সেনানিবাসের সাব-জেলে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার জন্য তিনবেলা খাবাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারের মেন্যুতে সকালের জন্য আছে রুটি ও সবজি। দুপুরে থাকছে ডাল, ভাত, সবজি ও মাছ/মাংস। রাতে থাকছে মাছ/মাংস ও সবজি। সাব-জেলের বন্দিদের জন্য কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে-জানতে চাইলে ওই সূত্রটি জানায়, তাদের রুমে একটি বিছানা, চেয়ার, একটি টেবিল, একটি পত্রিকা, একটি ফ্যান আছে। তাদের জন্য চা পানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।