সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবদ্ধ ও আহতরা হলেন- ইছহাক মিয়া তালুকদার (২৮), ইকবাল মিয়া তালুকদার (৩৫), ফুল মিয়া তালুকদার (৩৪), কাসেম তালুকদার (৪৫), আব্দুল কাহের তালুকদার (৩৬), মুছা মিয়া তালুকদার (৬২), বসর মিয়া তালুকদার (৬৪), আলফু মিয়া তালুকদার (৩২), জহর উদ্দিন তালুকদার (৫৫), কয়েছ মিয়া তালুকদার (৬০), রিয়াজ মিয়া (১৫), মুতালিব মিয়া (২৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পিন্টু দাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি মেম্বার) ইলিয়াস মিয়া ও বর্তমান ইউপি মেম্বার মাহবুব মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আটজনকে রেফার্ড করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেলে।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. পিন্টু দাস বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানার ওসি উত্তম কুমার দাশ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। গ্রামের পরিবেশ এখন শান্ত, আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।