Image description

হাইড্রোজেন প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন গাজীপুরে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. শাহাবুদ্দিন। দুই বছরের গবেষণার ফল হিসেবে তিনি উদ্ভাবন করেছেন ‘এইচআরএল ইনডেক্স’ নামের এক গাণিতিক সূত্র, যার মাধ্যমে কোনো দেশের হাইড্রোজেন প্রযুক্তির প্রস্তুতি বা সক্ষমতা নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হবে। গবেষক আশা করছেন, তার উদ্ভাবিত এইচআরএল ইনডেক্স টেকসই জ্বালানি ও হাইড্রোজেন অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

ডুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. শাহাবুদ্দিন বর্তমানে মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব মালায়াতে সিনিয়র লেকচারার এবং বাংলাদেশের আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডজাংকট সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি এর আগে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অস্ট্রেলিয়া,‌ ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অব অস্ট্রেলিয়া, ইউএনএস ডব্লিউ এবং ইউটিএসের মতো স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ সাইন্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

ড. শাহাবুদ্দিন অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ডসহ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিট অব অ্যাডিলেড থেকে এমফিল ও ডুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। 

দুই বছরের গবেষণার পর ড. শাহাবুদ্দিনএইচআরএল সূচকটি আবিষ্কার করেন, যা দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো দেশের হাইড্রোজেন প্রযুক্তির প্রস্তুতির মাত্রা সুনির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হবে। ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রযুক্তির প্রস্তুতি স্তর বা টিআরএল নামের একটি তাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করেছিল। তবে সেটির মাধ্যমে কোনো দেশের নির্দিষ্ট প্রযুক্তির বাস্তব প্রস্তুতি বা পরিমাণগত মান নির্ধারণ করা যায় না।

 

নতুন এই এইচআরএল সূচকটি সম্পূর্ণ গাণিতিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এর মাধ্যমে একটি দেশের কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজির প্রযুক্তিগত ঘাটতি, বিনিয়োগের প্রয়োজন, সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা, নীতিনির্ধারণ, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার মতো বিষয়গুলো পরিমাপযোগ্যভাবে বিশ্লেষণ করা যাবে।

 

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে হাইড্রোজেন এনার্জির স্বনামধন্য জার্নাল ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হাইড্রোজেন এনার্জি’-তে।

ড. শাহাবুদ্দিন আহমেদ আশা করছেন, তার উদ্ভাবিত এইচআরএল সূচক বিশ্বব্যাপী টেকসই জ্বালানি গবেষণা ও হাইড্রোজেন অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।