
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্গো ভিলেজ ব্যবহারে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাবদ এক হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে এই টাকার অঙ্কে আপত্তি বেবিচকের। টাকার অঙ্কের এ গরমিলের কারণে চালু করা যাচ্ছে না তৃতীয় টার্মিনালের কার্গো ভিলেজ।
বিমানবন্দরটির বিদ্যমান কার্গো ভিলেজ পুড়ে যাওয়ার পর নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালের কার্গো ভিলেজ ব্যবহারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। জবাবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বেবিচকের কাছে হাজার কোটি টাকার বকেয়া বিল চেয়ে বসছে। অন্যথায় তারা টার্মিনালটি বেবিচককে বুঝিয়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনায় এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নতুন যে অত্যাধুনিক ইমপোর্ট কার্গো ভবন (তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের অংশ) নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি এখনো চালু হয়নি অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে। এই ভবন চালু হলে আগুন লাগলে আমরা বাসা থেকেও মনিটর করতে পারতাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক গ্যাপ রয়ে গেছে হাজার কোটি টাকার বেশি। আমরা সেই গ্যাপ পূরণে দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে একটি যৌথ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকারি টাকা ও ঠিকাদারি দাবি-দাওয়ার মধ্যে পার্থক্য মিটলেই নতুন কার্গো ভবনটি হস্তান্তর ও চালু করা হবে।