
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রেস্তোরাঁয় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের সময় কিশোরীর চিৎকার চাপা দিতে সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় নাইম হোসেন (২০) নামে এক যুবকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। কিশোরী উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রবিবার সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় কিশোরীকে রাস্তা থেকে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয় নাইম ও তার সহযোগীরা। পরে তারা কিশোরীকে স্থানীয় ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চায়নিজ রেস্টুরেন্টে’ নিয়ে যায়। সেখানে নাইম তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ইমরান (২১), আকাশ (২১), আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) ও নাজমুল হক নয়ন (২০) ফটকে পাহারা দেয় এবং রেস্টুরেন্টে সাউন্ডবক্সে জোরে গান বাজিয়ে কিশোরীর চিৎকার চাপা দেয়।
এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক পার্থ সাহা বলেন, কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো রোববারও মাদ্রাসায় যায়। ছুটি হওয়ার পরও যখন বাড়ি ফেরেনি, তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এক পর্যায়ে এক অচেনা ব্যক্তি ফোন করে জানায়, মেয়ে অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে আছে। সেখানে গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পাই। পরে এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।’
সোমবার বিকেলে ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চায়নিজ রেস্টুরেন্টে’ গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের দেখে তারা উত্তেজিত হয়ে চড়াও হন। পরে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করে এবং আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
কামারখন্দ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার বলেন, আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্তোরাঁটি বিকেলে বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, কিশোরীর মা ছয়জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।