Image description
জাতীয় লীগের কার্যক্রম ফের যাচাইয়ে নামছে ইসি

তদন্তে আটকা পড়েছে নতুন দলের নিবন্ধন কার্যক্রম। যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে, আগামী সপ্তাহে নিবন্ধনের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অস্তিত্ব ও ধারাবাহিক কার্যক্রম আরও যাচাইয়ে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি-এনসিপির অভিযোগের পরই এ উদ্যোগ    নিল ইসি। জাতীয় লীগের পাশাপাশি আরও দুটি দল জাতীয় জনতা পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান

সিরাজ)-এর অধিকতর তদন্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে ইসি সচিবালয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, এবার ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। ২২টি দলের তথ্য মাঠে পর্যালোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি দল-এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির এ সিদ্ধান্তের এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে ‘জাতীয় লীগ’ নিয়ে আপত্তি তোলে এনসিপি প্রতিনিধি দল। সেদিন এনসিপির জহিরুল ইসলাম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জাতীয় লীগ কেন্দ্রীয় অফিসের অস্তিত্ব নেই, দলের কোনো গঠনতন্ত্র নেই। ওই দলের যারা নেতৃত্ব, তাদের কেউ চেনে না। মাঠে কোনো কর্মসূচি নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছিলাম যে, আপনারা এমন একটি দলের নিবন্ধন দেওয়ার ব্যাপারে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন? নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে, তারা এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। এরপরই জাতীয় লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অস্তিত্ব, ধারাবাহিক কার্যক্রম যাচাইয়ে আবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

১০ দলের অধিতকর তদন্তে অতিরিক্ত সাত কমিটি : নতুন ১০টি দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে পুনঃ তদন্তের জন্য আরও সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে মঙ্গলবার। যে দলগুলোর মাঠে পুনঃ তদন্ত হবে- আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।

দুই দিন আগে এসব দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে পুনঃ যাচাইয়ে ইসি ১০ প্রশাসনিক অঞ্চলে ১০টি কমিটি গঠন করেছিল।

মঙ্গলবার অতিরিক্ত সাতটি কমিটি করা হয়, যাতে সংযুক্ত করা হয়েছে আরও ২১ কর্মকর্তাকে। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সার্বিক তদন্ত কাজ শেষে আগামী সপ্তাহে দলের নিবন্ধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করা যায়।