
বাঁশখালী থেকে অপহৃত পাঁচ মাস বয়সী শিশু আদিয়াতকে অপহরণের ১৬ ঘণ্টা পর চন্দনাইশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত এক নারীকেও আটক করা হয়। অপহরণকারীরা শিশুটিকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার রাতে বাঁশখালী থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ।
উদ্ধার হওয়া শিশুটি বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের জনৈক মঞ্জুর আলমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার (১২ অক্টোবর) মঞ্জুর আলমের কাছ থেকে তার পাঁচ মাস বয়সী শিশুকে প্রতিবেশী জনৈক রিদোয়ান (৩৫) কোলে নিয়ে আদর করার ছলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রিদোয়ানকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে শিশুর পিতা মঞ্জুর আলম বাঁশখালী থানায় তাকে প্রধান আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু (বিপিএম বার)-এর নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগের তত্ত্বাবধানে, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই চন্দনাইশ উপজেলার মুরাদাবাদ এলাকা থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এ সময় শিশুটিকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় ক্রয় করা চন্দনাইশের বাসিন্দা রোবাইদা সুলতানা তানজুকেও পুলিশ আটক করে। তানজু জনৈক নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত রিদোয়ানসহ অন্যান্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।