Image description
 

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ছাড়া অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের টিকে থাকা মুশকিল ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে ইতালি সফরের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


ড. ইউনূস বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশের অর্থনীতিকে একেবারে ধ্বংস করে পালিয়েছিল। সেই ভেঙে পড়া অর্থনীতি এখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কারণে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে।

প্রবাসে সরকার প্রধানকে কাছে পেয়ে প্রবাসী বাঙালিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। প্রবাসীরা ইতালিতে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রবাসীদের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জানান, ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য এরইমধ্যে ইতালি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, কতগুলো সমস্যার কথা বলেছে ইতালি। বাংলাদেশিরা যে দেশেই যায় সেখানেই বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বলে অভিযোগ করেছে দেশটি। এমন প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এর আগে, আজ রোমে ডব্লিউএফপি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান কার্ল স্কাউর সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট ও স্কুলে খাদ্য কর্মসূচি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশে আশ্রিত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন কার্ল স্কাউ।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. কু ডংইউর কাছে তিনটি নতুন খাতে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোমে সংস্থাটির সদর দফতরে দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ফল রফতানির জন্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ফসল-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ, স্বল্পমূল্যের বহনযোগ্য কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা প্রতিষ্ঠা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

এ সময় বাংলাদেশকে ‘উচ্চ কর্মদক্ষ দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে এফএও মহাপরিচালক বলেন, কারিগরি সহায়তা, উদ্ভাবনে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাবে সংস্থাটি।

ইত্তেফাক