Image description
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জেলা জজ মো: রেজাউল করিম চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুপ্রিমকের্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গতকাল সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে তাকে বরখাস্তকরণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ‘সংযুক্ত’ রয়েছেন। রেজাউল করিম বিগত সরকার আমলে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালতের বিচারক ছিলেন। বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত ঢাকার সাবেক চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল সার্ভিসের শৃঙ্খলা বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত মর্মে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল সার্ভিসের শৃঙ্খলা বিধিমালা-২০১৭ এর বিধি ১১ অনুযায়ী রেজাউল করিম চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত: ঢাকার সিএমএম থাকাকালীন রেজাউল করিম চৌধুরীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে গতবছর ২৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ‘গাড়িকা-’ নামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এতে বলা হয়, রেজাউল করিম এক আসামির আলামত হিসেবে জব্দ করা গাড়িটি ডিবি পুলিশের হেফাজত থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারে নিয়েছিলেন।

এছাড়া তিনি আইন মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠা প্লট নেন। যেখানে সাধারণত হাইকোর্ট বিচারপতিগণ ৫ কাঠা করে প্লট পান।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলায় সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে নর্দান ইউনিভার্সিটির পাশে পাঁচ কাঠা রেডিমেড প্লট গ্রহণ করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ঢাকার সিএমএম আদালতে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নিজ জেলা চট্টগ্রামের সীতাকু-ে তিনতলা বাড়িও নির্মাণ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে স্থায়ী বরখাস্তসহ ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।